অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: পুজোর আগে টালা ব্রিজ চালুর পর ভাঙা হতে পারে কাশীপুর রেল ওভারব্রিজ। ভাঙা হতে পারে চিৎপুরের কাশীপুরের রেল ওভারব্রিজ। চিৎপুর লকগেট ব্রিজের পাশে কাশীপুর রোডের ওপর রেল ওভারব্রিজ। রেল ওভারব্রিজ জরাজীর্ণ, ভেঙেছে সেতুর পাশের রেলিং, দুর্বল কাঠামো। সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত। টালা ব্রিজের মতোই, এবার, চিত্‍পুর-কাশীপুর রেল ওভারব্রিজ ভেঙে ফেলে, নতুন করে তৈরির সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। স্থানীয় বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করছে পুরসভা।



পুজোর আগেই টালা ব্রিজ চালুর ভাবনা সরকারের। তবে, এই ব্রিজটি চালুর পরই, ভাঙা হতে পারে, উত্তর কলকাতার আরেকটি সেতু। চিত্‍পুর লকগেট ব্রিজের পাশে, কাশীপুর রোডের ওপর এই রেল ওভারব্রিজকেই ভেঙে ফেলে নতুন করে গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। সেতুটির অবস্থা জরাজীর্ণ। ভেঙে পড়েছে পাশের রেলিং। কাঠামোও দুর্বল হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। তারপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, টালার মতোই, পুরো ভেঙে ফেলে, নতুন করে বানানো হবে রেলের ওভারব্রিজটি। 


পুরসভা সূত্রে খবর, ব্রিজটি রেল তৈরি করলেও, তা ভেঙে ফেলে নতুন করে তৈরি করবে KMDA। এ নিয়ে KMDA কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসে পুরসভা। বৈঠকে ছিলেন রেলের প্রতিনিধিরাও। এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "শুধু ব্রিজ তৈরির প্রসঙ্গে যেটা বলছে টালা চালু হলে এটা ভাঙা হবে।"            


আরও পড়ুন, টেট -এ ভুল প্রশ্ন, আরও ৫৪ জন নিয়োগের নির্দেশ


কিন্তু, সমস্যা অন্য জায়গায়। সেতুর নীচে কয়েকশো মানুষের বাস। যাঁদের মাথার ওপর ছাদ বলতে এই সেতুই। দেওয়াল বলতে এই সেতুর পিলার। ব্রিজ ভাঙলে, এঁরা কোথায় যাবেন? রেল ওভারব্রিজের নীচের বাসিন্দা বলেন, "আমরা তো অনেক বছর আছি আমাদের কোথাও জায়গা দিতে হবে।" এই বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানো ও পুনর্বাসন নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে।                                                      


মেয়র বলেন, "এরা অনেক বছর ধরে রয়েছে এদেরকে পুনর্বাসন করে, তারপর কাজ শুরু হবে।" পুরসভা সূত্রে খবর, পুনর্বাসন নিয়ে, এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে স্থানীয় কাউন্সিলরকে কথা বলতে বলা হয়েছে।