হিন্দোল দে, কলকাতা: এবার বিদিশা দে মজুমদারের বন্ধুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। মৃত অভিনেত্রীর নাম মঞ্জুষা নিয়োগী (Manjusha Neogi)। আজ সকালে পাটুলির (Patuli) বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার করা হয়। বিদিশার মৃত্যুর পর থেকেই ডিপ্রেশনে (Depression) ছিলেন মঞ্জুষা, এমনটাই দাবি পরিবারের। 


ফের অভিনেত্রীর 'রহস্যমৃত্যু', শোকস্তব্ধ পরিবার


আজ সকালে পাটুলির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় অভিনেত্রী মঞ্জুষা নিয়োগীর ঝুলন্ত দেহ। সদ্য প্রয়াত বিদিশা দে মজুমদারের বন্ধু ছিলেন তিনি। পরিবার সূত্রে দাবি করা হচ্ছে যে বান্ধবীর মৃত্যুর পর থেকেই ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন মঞ্জুষা। তাহলে কি সেই অবসাদ থেকেই আত্মঘাতী হলেন?


বিবাহিত মঞ্জুষা চার পাঁচ দিন আগেই বাপের বাড়িতে আসেন। মৃত অভিনেত্রীর মায়ের কথায়, 'বিদিশা ওর বান্ধবী ছিল। একসঙ্গে ওরা অনেক কাজ করেছে। কাল সারাদিন বিদিশার কথাই বলছিল। বারবার বলছিল যে আমিও বিদিশার মতো করব।'


মঞ্জুষার মায়ের আরও দাবি, 'কালও ভাল মনে শ্যুটিং সেরে এসেছিল। বিয়ের পর জামাই বলতো যে এত কাজ একসঙ্গে করতে হবে না। এই ইন্ডাস্ট্রিতে ছিল বলে শরীর রোগা রাখত, খাওয়া-দাওয়া কম করত। আমিও বলতাম ভাল করে খাওয়া দাওয়া করত। না খেলে রোগ হবে। কিন্তু তার আগেই ও নিজেকে শেষ করে দিল।'


বাড়িতে শোকের ছায়া। স্বাভাবিকভাবেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মঞ্জুষার মা। বিদিশার মৃত্যু বেশ প্রভাব ফেলেছিল অভিনেত্রীর ওপর, দাবি মায়ের। 


আরও পড়ুন: Bidisha Death: সামনে এল বিদিশা দে মজুমদারের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট


দিন দশ-বারোর ব্যবধানে তিন অভিনেত্রীর দেহ উদ্ধার


গত ১৫ মে পল্লবী দে-র দেহ উদ্ধার, তার ঠিক দশ দিন পর বিদিশা দে মজুমদারের দেহ উদ্ধার। এবং তার মাত্র দুই দিনের মাথায় বন্ধু মঞ্জুষা নিয়োগীর দেহ উদ্ধার। সব মিলিয়ে গোটা ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কী কারণে এমন একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা, কোন মানসিকতা থেকে এই পথ বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত, উঠছে প্রশ্ন।