সুদীপ্ত আচার্য ও সন্দীপ সরকার, কলকাতা: কর্মক্ষেত্রে কি চাপ বাড়ছিল? সেই চাপ নিতে না পেরেই কি নিজেকে শেষ করে দিয়েছেন অভিনেত্রী? না কি সম্পর্কের টানাপোড়েন? পল্লবী দে-র মৃত্যু ঘিরে উঠছে নানা প্রশ্ন।


অভিনেত্রীর মৃত্যু ঘিরে প্রশ্ন: একের পর এক সিরিয়ালের মুখ্য চরিত্রে অভিনয়। পাল্লা দিয়ে ঝড় তুলতেন সোশাল মিডিয়াতেও। কিন্তু সেই হাসিখুশি পল্লবী দে-র আচমকা মৃত্যু, নাড়িয়ে দিয়েছে টালিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রি-কে। রবিবার গড়ফার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। অভিনেত্রী কি সত্যিই আত্মঘাতী হয়েছেন? স্বাভাবিকভাবেই যখন এই প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়েছে, তখন চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেছেন অভিনেতা দেবদূত ঘোষ। অভিনেতা দেবদূত ঘোষ বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই স্ট্রেসফুল লাইফ, অনেকবারই বলেছি। একটা কাউন্সেলিংয়ের লোক থাকা উচিত, বিভিন্নভাবে বলেছি, কে কবে শুনবে জানি না।‘’


পল্লবীর ওপর কি পেশাগত কোনও চাপ ছিল? লিভ ইন পার্টনারের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল? এবিষয়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ সব্যসাচী মিত্র বলেন, “মানুষ সুইসাইড করতে পারে দুটি কারণে, বিভিন্ন হতাশা থেকে আত্মঘাতীর সিদ্ধান্ত। রূপলী পর্দার শিল্পীদের অনেক টানাপোড়েন থাকে, সেটা পেশাগত কারণ বা সম্পর্কের কারণ হতে পারে। সেই কারণে নিজেদের শেষ করে দিতে পারে। হোমিসাইড হলে তো পুলিশ তদন্ত করে দেখবে।’’


হলিউডের মেরিলিন মনরো থেকে শুরু করে বলিউডের গুরু দত্ত, সিল্ক স্মিতা থেকে জিয়া খান, সুশান্ত সিং রাজপুত, একের পর এক তারকার রহস্যমৃত্যুতে বারবার উঠে এসেছে রুপোলি জগতের মানসিক চাপের কথা।  যে প্রশ্ন ঘুরেফিরে এসেছিল, বাংলা সিরিয়ালের অভিনেত্রী দিশা গঙ্গোপাধ্যায়, বিতস্তা সাহার মৃত্যুর পরেও। সমাজতত্ত্ববিদ অভিজিৎ মিত্রর মতে, “রুপোলি পর্দায় টিকে থাকা একটা চ্যালেঞ্জ, আজ নায়িকা-কাল মাসি-পরশু ভিলেন করে দিল, এই বিষয়গুলি এফেক্ট ফেলে। উত্তম কুমার নায়ক-এ বলেছিলেন আমি উপর থেকে নিচে পড়ে যাব। উপর থেকে নিচে পড়লে মানসিকতায় এফেক্ট পড়ে। সুপ্রিম কোর্ট লিভ ইন-কে স্বীকৃতি দিয়েছে। দু-জনকে ঘিরে ওঠে, যা পরিবারের সঙ্গে যুক্ত নয়। পরিবারে থাকলে বহিপ্রকাশের জায়গা থাকে, সেখানে লিভ ইন-এ যদি একজন আরেকজনকে না বুঝতে পারে, তাহলে কেউ মনে করতে পারে ভালবাসার অভিনয় করছে, এই সন্দেহ জাগতে পারে।’’


আরও পড়ুন: Bowbazar: বউবাজারের দুটি বাড়ি আংশিক ভাঙার সিদ্ধান্ত, কবে ফিরবে মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু?