কলকাতা: অ্যাডিনো (Adenovirus) মোকাবিলায় ৮ সদস্যের টাস্ক ফোর্স গঠন নবান্নের। টাস্ক ফোর্সে মুখ্যসচিব, মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা। স্বাস্থ্যসচিব, নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের প্রধান সচিব। টাস্ক ফোর্সে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা। টাস্ক ফোর্সে চিকিৎসক সুকুমার মুখোপাধ্যায়, গোপালকৃষ্ণ ঢালি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রতিদিন বৈঠক করবেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। 


মৃত্যু মিছিল অব্যাহত। থামছেই না কান্নার রোল। খালি হয়ে যাচ্ছে একের পর এক মায়ের কোল। রাজ্যজুড়ে অব্যাহত অ্যাডিনো আতঙ্ক। শনিবার ভোররাতে বিসি রায় শিশু হাসপাতালে মৃত্য়ু হয় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর হেলেঞ্চার বাসিন্দা ৭ মাসের এক শিশুর। ৯ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিল ওই শিশু। বনগাঁ হাসপাতাল থেকে তাকে বি সি রায় হাসপাতালে রেফার করা হয়। পরিবার সূত্রে খবর, জ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ছিল শিশুর। ডেথ সার্টিফিকেটে নিউমোনিয়ার উল্লেখ রয়েছে। এদিকে এই টাস্ক ফোর্স নিয়ে আবার বিজেপির আইটি সেলের প্রধান ট্য়ুইট করেছেন, “অ্য়াডিনো ভাইরাসের সংক্রমণে ১৪০ জনেরও বেশি শিশুর মৃত্য়ু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার দেরিতে টাস্ক ফোর্স তৈরি করেছে। এটা বিস্ময়কর যে, টাস্ক ফোর্সে একজনও শিশু চিকিৎসক নেই। দুর্ভাগ্য়জনক বিষয় হল, মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় স্বাস্থ্য়মন্ত্রী।’’








এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, ১১ হাজার আক্রান্তের মধ্যে রাজ্যে  ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে অ্যাডিনো ভাইরাসে। তাঁদের মধ্যে আবার ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে কো-মর্বিডিটির কারণে। শতাংশের হিসেবে দেখলে অন্যান্য ক্ষেত্রেও এরকম হয়। যদিও বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই নিয়ে ২ মাসে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৩৭ জন শিশুর। স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, “বিসি রায়ে রেফার হওয়া কমেছে। পরিস্থিতি অনেকেটাই স্বাভাবিকের পথে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’’

এদিকে, অ্য়াডিনো পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্র চিঠি দিয়েছে রাজ্যগুলিকে। যেখানে, বলা হয়েছে  কয়েকটি রাজ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো অসুস্থতা, শ্বাসকষ্ট এবং অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। কো-মর্বিডিটি থাকা অল্পবয়সী বা বয়স্কদের ক্ষেত্রে সংক্রমণ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ১ জানুয়ারী থেকে বিভিন্ন ICMR ল্যাবে যে সব নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তার 25%-এর বেশি নমুনায় অ্যাডিনো ভাইরাস পাওয়া গেছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সংক্রমণ ঠেকাতে হাঁচি-কাশির সময় নাক-মুখ ঢেকে রাখতে হবে। যেখানে সেখানে থুতু ফেলা চলবে না। জনবহুল জায়গায় ব্যবহার করতে হবে মাস্ক, বার বার হাত ধুতে হবে। সংক্রমিতদের থেকে দূরে থাকতে হবে। স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তি রোগীদের সংক্রমণ নির্ণয় করতে বিভিন্ন পরীক্ষা করতে হবে। স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলিতে যেন ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং অক্সিজেন পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত থাকে তা দেখতে হবে।


আরও পড়ুন: Job Seekers Agitation: হামাগুড়ি দিয়ে, দণ্ডি কেটে প্রতিবাদ, চাকরির দাবিতে পথে চাকরিপ্রার্থীরা