দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আইএসএফের (ISF) শক্ত ঘাঁটি ভাঙড়ে তৃণমূলের (TMC) হাল ফেরাতে অবজার্ভার সওকত মোল্লা। শীঘ্রই মেটাতে হবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, দলীয় কর্মীদের কড়া বার্তা সওকতের। পরস্পরবিরোধী দুই গোষ্ঠীকে নিয়ে বৈঠকে কড়া বার্তা সওকত মোল্লার।
অবজার্ভার সওকত মোল্লা: ভাঙড় একদা শক্ত ঘাঁটি, এখন কার্যত তৃণমূলের গলার কাঁটা। সেখানে লাগাতার অশান্তি, গত বিধানসভা নির্বাচনে আইএসএফের নৌশাদ সিদ্দিকির-এর কাছে পরাজয়। সব কিছুর নেপথ্য়ে অন্যতম কারণ হিসেবে উঠে এসেছে, তৃণমূলের তীব্র কোন্দলের তত্ত্ব। এই প্রেক্ষাপটেই আগামী পঞ্চায়েত ভোটের আগে, ভাঙড়ে সংগঠনের হাল ফেরাতে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রুখতে কড়া বার্তা দিল তৃণমূল নেতৃত্ব। ভাঙড় বিধানসভার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হল ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লার হাতে।
শনিবার তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির ভবানীপুরের বাড়ি লাগোয়া পার্টি অফিসে ডাকা হয় ভাঙড়ের তৃণমূল নেতাদের। ভাঙড়ের যে দুই নেতার মধ্যে বিবাদ বারবার শিরোনামে উঠে এসেছে সেই আরাবুল ইসলাম এবং কাইজার আহমেদকে এদিন পাশাপাশি হেঁটে বৈঠকে ঢুকতে দেখা যায়। এদিন সওকত মোল্লা বলেন, “গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রোধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে, একত্রিত করা হবে, বুথ ভিত্তিক রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।’’ এবিষয়ে আরাবুল ইসলাম বলেন, “দল যা বলবে, সেইভাবে চলবে।’’ তৃণমূলের ভাঙড় কৌশলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সেখানকার আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি। তিনি বলেন, “ভাঙড়ের দায়িত্বে এরা কেন, মমতা আর অভিষেক নিজেরা নিতেন, তাহলে খুশি হতাম।’’
গত বিধানসভা ভোটে সংখ্য়ালঘু অধ্য়ুষিত ভাঙড়ে হেরেছিল তৃণমূল। কয়েকদিন আগে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত আরেক বিধানসভা কেন্দ্র, সাগরদিঘির উপনির্বাচনেও বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে পরাস্ত হন তৃণমূল প্রার্থী। যার জেরে প্রশ্ন উঠছে, সংখ্যালঘুরা কি তৃণমূলের থেকে মুখ ফেরাচ্ছে? সওকত মোল্লা বলেন, “সংখ্যালঘু ভোট চলে যাওয়ার বিষয়টি ঠিক নয়, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা ভাল ফল করবই। নৌশাদ সিদ্দিকি আগে ঠিক করুক, উনি কি আদৌ ধর্মগুরু না নেতা।’’
ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত। গত বিধানসভা ভোটের ফলের নিরিখে বেঁওতা ১ এবং বামনঘাটা, এই দুই পঞ্চায়েত এলাকা ছাড়া ১১টি পঞ্চায়েতেই আইএসএফের কাছে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। পঞ্চায়েত ভোটে কি সেই ব্যবধান ঘোচাতে পারবে শাসকদল? সেটাই দেখার।