কলকাতা: সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফলাফল ঘিরে ফের শাসক-বিরোধী তরজা। তবে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি নয়, এককালের শরিক কংগ্রেসই মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নিশানায়। দুই সপ্তাহ আগে প্রদেশ কংগ্রেস (Congress) সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury) বিরুদ্ধে নবান্ন থেকে মুখ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেবার  রাজনৈতিক কটাক্ষের পাশাপাশি অধীরকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই নিয়ে এত জলঘোলা হয় যে কোর্ট-কাছারি পর্যন্ত পৌঁছয় বিষয়টি। এ বার অধীরের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক আক্রমণ শানালেন মমতা। বিজেপি এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ম সেবক সঙ্ঘের সঙ্গে অধীরের আঁতাত রয়েছে বলে অভিযোগ করলেন। তার পাল্টা জবাব দিলেন অধীরও। বাংলায় বিজেপি-র আগমনের জন্য সরাসরি মমতাকেই দায়ী করলেন তিনি। 


লোকসভা নির্বাচনে মমতা বিরোধী জোট তৈরিতে বাধা দিচ্ছেন বলেও দাবি অধীরের


এবিপি আনন্দে এ দিন মুখ খোলেন অধীর। মমতাই বিজেপি-কে বাংলায় এনেছেন বলে দাবি করেন তিনি। শুধু তাই নয়, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে মমতা বিরোধী জোট তৈরিতে বাধা দিচ্ছেন বলেও দাবি করেন। এ দিন অধীর বলেন, "খোকাবাবু এবং পরিবারকে বাঁচাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি-র হয়ে কাজ করছেন। ইডি-সিবিআই থেকে খোকাবাবুকে বাঁচাতে বিরোধী জোট তৈরিতে বাধা দিচ্ছেন। দেশে ৩৭ শতাংশ ভোট বিজেপি-র। ৬২ থেকে ৬৩ শতাংশ বিজোপি বিরোধীদের। সেখানে আবার কংগ্রেসের ২০ শতাংশ, ৪ শতাংশ তৃণমূলের। বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদিকে সুবিধা করে দিতে বরাবর বিরোধী জোটে বাধা দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।"


আরও পড়ুন: Amartya Sen: সংঘাত চরমে, সরাসরি উচ্ছেদের নোটিস, অমর্ত্যকে জমি ছাড়ার নির্দেশ বিশ্বভারতীর


রবিবার কালীঘাট থেকে ফোনে মুর্শিদাবাদের নেতৃত্বের সঙ্গে কথা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেখানে সাগরদিঘির হারের প্রসঙ্গে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। আর তাতেই অধীরকে নিয়ে ফের চাঁচাছোলা মন্তব্য করেন মমতা। তাঁর বক্তব্য়, "কংগ্রেসের যিনি বড় বড় কথা বলছেন, তিনি হলেন (অধীর) বিজেপির এক নম্বর লোক।" এর পর আরও একধাপ এগিয়ে মমতা বলেন, "অধীর চৌধুরী আরএসএস-কে সঙ্গে নিয়ে, সিপিএম-এর সঙ্গে তৃণমূলের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন।" বিষয়টি সামনে আসতেই এবিপি আনন্দে মুখ খোলেন অধীর। মমতাই বিজেপি-কে বাংলায় এনেছেন বলে দাবি করেন তিনি। 


তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিএম, সব একই পথের পথিক, দাবি বিজেপি-র


তবে মমতা বনাম অধীরের এই বাক্য বিনিময়কে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি। তাদের দাবি, তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিএম, সব একই পথের পথিক। হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় তাই বলেন, "আমরা দেখেছি যে কৌস্তভ (বাগচি) তৃণমূলের সমালোচনা করেছেন বলে সনিয়া গান্ধী তাঁকে আল্টিমেটাম দিয়েছেন। এখানে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিএম, সব একই পথের পথিক।"