মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: কারখানায় (factory) ঢুকে অত্যাধুনিক মানের যন্ত্রাংশ(machine) নিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা (theft)। চুরি যাওয়া যন্ত্রাংশের আর্থিক মূল্য আনুমানিক আট থেকে নয় লক্ষ টাকা। রবিবার সকালে দুর্গাপুরের (durgapur) ওই ঘটনায় চারপাশে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
কী ঘটেছে?
সাইট ইনচার্জের বক্তব্য, প্রতি দিনের মতো আজও কারখানা পরিদর্শনে এসেছিলেন। তখনই ওই কাণ্ড নজরে আসে। দেখেন, কারখানার টিনের ছাদের একটা অংশ ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ধীরে ধীরে গোটা ছবিটা স্পষ্ট হতে থাকে। নজরে আসে, জলের পাইপ তৈরির যন্ত্রগুলিও উধাও। কোথা থেকে কী ভাবে ঘটনাটি ঘটল, ঠাওর করতে পারছেন না 'দুর্গাপুর পুলিমার্স' নামে ওই কারখানার কর্তাব্যক্তিরা। এর মধ্য়েই চুরির ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার পুলিশ।
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য...
কারখানার টিনের ছাদ ভেঙে যে ভাবে দুষ্কৃতীর দল ভিতরের যন্ত্রপাতি নিয়ে চম্পট দিয়েছে, তাতে থ কর্তাব্যক্তিরা। হতাশ গলায় কারখানার এক আধিকারিক গৌতম মিত্রের প্রশ্ন, 'এই ভাবে দুষ্কৃতী তাণ্ডব চলতে থাকলে কারখানা চালাব কী করে?' আধিকারিকদের বক্তব্য়, জলের পাইপ তৈরির যে যন্ত্রগুলি চুরি গিয়েছে সেগুলি নতুন প্রকল্পের জন্যই আমেদাবাদ থেকে আনা হয়েছিল। এখন কী ভাবে প্রকল্পের কাজ হবে, সেটা ভেবে উঠতে পারছেন না কেউ। বস্তুত শিল্পতালুকের অন্দরেই একটি কারখানায় এমন দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা নিয়ে আতঙ্কের চোরাস্রোত শিল্পপতিদের মধ্যে। কেউ কেউ মনে করাচ্ছেন, এমনিতেই এই শিল্পতালুকের কুড়ি থেকে বাইশটির মতো কারখানার সব কটি চলে না। যে কটি চালু রয়েছে তাতেও এই ভাবে দুষ্কৃতী হানা ঘটতে থাকলে কারখানা চালানো মুশকিল। বিরোধী শিবিরও সুর চড়াচ্ছে এই নিয়ে।
সমালোচনার মুখে পড়ে প্রশাসন কি আরও একটু সচেতন হবে? বলব সময়? তত দিন পর্যন্ত কি এভাবেই অরক্ষিত থাকবে কারখানাগুলো?
আরও পড়ুন:অর্পিতার কাছে এত সম্পত্তি কীভাবে? উত্তর খুঁজছে ইডি