সনৎ ঝা, দার্জিলিং: কাবুল থেকে দেশে ফিরলেন আফগানিস্তানে বসবাসকারী দার্জিলিঙের বাসিন্দা রাজেশ থাপা সহ পাহাড়ের আরও কিছু বাসিন্দা। তিনি বললেন, গতকাল সকালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় দেশে ফিরেছি। ওখানকার পরিস্থিতি ঠিক নয়। তবে সরকারের সহযোগিতায় আমরা ফিরলাম। 


তিনি যোগ করলেন, (ফিরতে) আর দেরি হলে মুশকিল হতো। তালবানি সরকার গঠন করতে অস্ত্র হাতে নিয়েছে এতে ওখানকার সাধারণ মানুষ ভয়ে রয়েছে। বাইরের সবাই ফিরতে চাইছে ফলে একটা সমস্যা হচ্ছে। তিনি বলেন, কীভাবে আমাদের বের করা হয়েছে তা বলতে পারব না, আরও ভারতীয়রা আটকে রয়েছেন। তাঁদের অসুবিধা হতে পারে।


রাজেশের মতোই আফগানিস্তান থেকে দেশে ফিরলেন কার্শিয়ঙের বাসিন্দা কিষাণ গুরুঙ্গ। গতকাল রাতে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামেন তিনি। কাবুলে ইতালিয় দূতাবাসে কর্মরত ছিলেন এই প্রাক্তন সেনাকর্মী। তালিবান দখল নেওয়ার পর আশ্রয় নেন ডেনমার্কের দূতাবাসে। এরপর ব্রিটিশ সেনার সহায়তায় পৌঁছে যান কাবুল বিমানবন্দরে। সেখান থেকে দেশে ফেরা।


একইভাবে দেশে ফিরেছেন কার্শিয়ঙের বাসিন্দা প্রসন্ন লামা। ইতালির দূতাবাসে সুপারভাইজারের কাজ করতেন প্রসন্ন লামা। কার্শিয়ঙের বাসিন্দা প্রসন্ন এখনও আতঙ্কে রয়েছেন। জানালেন, গুলি-বোমার আওয়াজের মধ্যেই গত কয়েকদিন কেটেছে। বাড়িতে ফিরেও আফগানিস্তানের পরিস্থিতির কথা ভেবে শিউরে উঠছেন প্রসন্ন। 


এদিকে, আফগানিস্তান থেকে গতকাল রাতে বাড়ি ফেরেন নদীয়ার কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা অভিজিৎ ঘোষ। জানালেন, আট বছর আগে কাজের সুবাদে তিনি আফগানিস্থানে যান। তিনি আফগানিস্তানে আমেরিকার সেনা ছাউনিতে কাজ করতেন। বাইরের পরিস্থিতি খারাপ। তবে সেনা ছাউনিতে নিরাপদ ছিলেন। বাড়ি ফিরে খুশি অভিজিৎ বলেছেন, ভারত সরকার এবং যে কোম্পানির আন্ডারে কাজ করতাম তারা প্রচণ্ড সাহায্য করেছে বাড়ি ফেরার জন্য। 


সোমবার কাকভোরে বাড়িতে ফেরেন তাহেরপুরের ডি-ব্লক ১৪ নম্বর রাস্তার বাসিন্দা তাপস কুণ্ডু। বছর ছত্রিশের তাপসবাবু ২০১৫ সালের শেষের দিকে কর্মসূত্রে আফগান পাড়ি দেন। তারপর থেকেই টানা প্রায় ছয় বছর ওই দেশে তিনি কর্মরত। শেষ দু'বছর তিনি ছুটিতে বাড়িতে আসেননি।