কলকাতা: দীর্ঘ দু-বছরের চড়াই উথরাই-এর পর আজ মধ্যরাত থেকেই রাজ্যে উঠছে করোনার সমস্ত বিধিনিষেধ (Covid Restrictions)। আজ মধ্যরাত থেকেই উঠছে রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ। রাজ্যে করোনার গ্রাফ (Corona Graph) নিম্নমুখী হওয়ায় বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনটাই জানালো রাজ্য সরকার (West Bengal)। তবে করোনার বিধিনিষেধ উঠলেও মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আজ পর্যন্ত কার্যকর ছিল রাজ্যে করোনার বিধিনিষেধ। এতদিন রাত ১২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বহাল ছিল কড়াকড়ি। তবে এবার আর কোনও বিধিনিষেধই থাকছে না। আবারও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে রাজ্য। উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলোকে পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। 


রাজ্যের করোনা আপডেট: গতকালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে অনেকটাই। গতকালের বুলেটিন বলছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩৭ জন। এ নিয়ে কাল রাজ্যে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ২০,১৭,৩১৫ জন। গতকাল রাজ্যে করোনা সংক্রমিত হয়েছিলেন ৩৭ জন। সরকারি বুলেটিন অনুযায়ী এদিনরাজ্যে করোনামুক্ত হয়ে হাসপাতাস থেকে বাড়ি ফিরেছেন ৬৬ জন। সবমিলিয়ে রাজ্যে করোনামুক্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন ১৯,৯৫,৪৮২ জন। উল্লেখ্য, এই সময়পর্বে রাজ্যে করোনা সংক্রমিত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এই নিয়ে পরপর ৮ দিন রাজ্যে করোনায় কেউ প্রাণ হারাননি। যা কার্যত অনেকটাই স্বস্তির রাজ্যবাসীর কাছে।


বিধিনিষেধ নিয়ে কেন্দ্রের বার্তা: রাজ্যের পাশাপাশি দেশেও ধীরে ধীরে কমছে সংক্রমণ। যদিও এখনও কিছু কিছু রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে জারি রয়েছে করোনার বিধি-নিষেধ (Covid Restrictions)। এই পরিস্থিতিতে পজিটিভিটির হার (Positivity Rate) ও নতুন সংক্রমণের প্রবণতা দেখে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয় কেন্দ্র।


সম্প্রতি সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিব ও মুখ্য প্রশাসককে চিঠি পাঠান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। তাতে তিনি উল্লেখ করেন, দেশে সংক্রমণের নিম্নগামী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে গত ২১ জানুয়ারি থেকে। সংশ্লিষ্ট মাসে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ দেখে সীমানা ও বিমানবন্দরে অতিরিক্ত বিধি-নিষেধ আরোপ করেছিল কিছু রাজ্য।


চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব লেখেন, কোভিড-১৯-এর কারণে জনস্বাস্থ্যে যে চ্যালেঞ্জ এসেছে তা নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি, এটাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ যে রাজ্য স্তরের বিভিন্ন পয়েন্টে আরোপিত অতিরিক্ত বিধিনিষেধের কারণে মানুষের চলাচল এবং অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ যাতে ব্যাহত না হয় তা দেখা। বর্তমানে, যেহেতু সারা দেশ সংক্রমণের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, এটি উচিত হবে যদি রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি নতুন কেস, সক্রিয় কেস বিবেচনা করার পর অতিরিক্ত বিধিনিষেধগুলি পর্যালোচনা করে এবং সংশোধন / প্রত্যাহার করে নেয়।