কলকাতা: ফাটল নজরে আসার ৪৮ ঘণ্টা পর অবশেষে মেট্রোর টানেলে জল ঢোকা বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে বলে KMRCL সূত্রে দাবি। বউবাজারে দুর্গা পিটুরি লেনে মেট্রোর কাজ চলাকালীন দেড় মিটার জায়গা জুড়ে ১১টি পকেট দিয়ে টানেলে জল ঢুকতে শুরু করে। ১০টি জায়গা দিয়ে জল ঢোকা বন্ধ করা সম্ভব হলেও, একটি জায়গা তখনও বন্ধ করা যায়নি।
KMRCL সূত্রে দাবি, বাকি একটি জায়গা দিয়ে জল ঢোকা এখন বন্ধ করা গেছে। তবে অন্য কোনও জায়গা দিয়ে ফের জল ঢুকতে পারে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন KMRCL এর আধিকারিকরা। এই টানেলে জল ঢোকার কারণে প্রায় আড়াই বছর পর বউবাজারের দুর্গা পিটুরি লেনে মেট্রোর কাজের জেরে বিপর্যয় হয়েছে। একাধিক বাড়ির দেওয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ঘর ছাড়তে হয়েছে বাসিন্দাদের।
পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বৈঠক: বউবাজারে দুর্গা পিটুরি লেনে মেট্রোর কাজের জেরে একাধিক বাড়িতে ফের ফাটল ধরেছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে আজ বিকেলে বৈঠকে বসছে মেট্রো ও পুর কর্তৃপক্ষ। গতকালই পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিকরা ফাটল ধরা বাড়িগুলি পরিদর্শন করেন। আশপাশের বাড়িগুলির অবস্থাও খতিয়ে দেখেন তাঁরা। ফাটল ধরা বাড়িগুলির কী অবস্থা? পুরোপুরি ভেঙে ফেলতে হবে, নাকি, সংস্কার করে বাসিন্দারা বসবাস করতে পারবেন, সে বিষয়ে আজ পুরসভাকে রিপোর্ট দেওয়ার কথা বিল্ডিং বিভাগের।
বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটেও কয়েকটি বাড়িতে ফাটল: অন্যদিকে, বউবাজারে মেট্রো রেলের কাজ যেখানে হচ্ছে, তার থেকে প্রায় দেড়শো মিটার দূরে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটেও কয়েকটি বাড়িতে ফাটল। বাসিন্দাদের অভিযোগ, আগে মেরামতি করা হলেও ফের ফাটল ধরেছে। আতঙ্ক রয়েছেন বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, এ নিয়ে অভিযোগ জানালেও কেউ আমল দিচ্ছে না।
বউবাজারে মেট্রোর কাজের জন্য বাড়িতে ফাটল ধরার পর ঘরছেড়ে অন্যত্র সরতে হয়েছে দুর্গা পিটুরি লেনের বাসিন্দাদের। উল্টোদিকের স্যাকরা পাড়া লেনের একটি বাড়ির বাসিন্দারা এসে উঠেছেন বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের একটি হোটেলে। ওই হোটেলে ৪টি পরিবারের ১৩ জন আশ্রয় পেয়েছেন। একটি পরিবারের দাবি, মেট্রো রেলের কাজের জন্য এই নিয়ে তিনবার ঘর ছাড়া হতে হল তাঁদের।