অরিত্রিক ভট্টাচার্য ও সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা: করমণ্ডল দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা। ‘রিলে রুমে’ ডিজিটাল তালা বসাচ্ছে পূর্ব রেল। খোলা যাবে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের মাধ্যমে। কাজ শুরু হল ডানকুনি স্টেশন দিয়ে।
করমণ্ডল দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা: রেলের স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা কি কেউ বদলাতে পারেন? পারলে কীভাবে তা সম্ভব? দুর্ঘটনার আগে বাহানাগাবাজার স্টেশনের রিলে রুমে কেউ কি ঢুকেছিলেন? করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার ‘মূল কারণ চিহ্নিত হয়ে গিয়েছে’ বলে রেলমন্ত্রী দাবি করলেও এইসব প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি। চলছে জোড়া তদন্ত। তদন্তকারীদের নজরে ওড়িশার বাহানাগাবাজার স্টেশনের রিলে রুম। রেল বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিগন্যাল ও পয়েন্ট সেটের ক্ষেত্রে রিলে রুমের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এখান থেকে সিগন্য়াল এবং পয়েন্টের সমন্বয় ছিন্ন করা সম্ভব। এই আবহে রিলে রুমে ডিজিটাল তালা বসাচ্ছে পূর্ব রেল। কাজ শুরু হল হুগলির ডানকুনি স্টেশন দিয়ে।
পূর্ব রেল সূত্রে খবর, যাঁদের কাছে বৈধ অনুমতি থাকবে, তাঁরাই শুধু ওই ঘরে ঢুকতে পারবেন। ঘর খোলা যাবে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের মাধ্যমে। তার জন্য লাগবে পাসওয়ার্ড ও ওটিপি। রিলে রুম খোলার পর থেকে সমস্ত তথ্য রেকর্ড হবে অ্যাপে। এবং কেউ রিলে রুম খুললে, বাকিদের কাছে চলে যাবে সেই সংক্রান্ত এসএমএস। ফলে সবাই জানতে পারবেন, কখন কে রিলে রুম খুলেছেন। তবে কোনও কারণে ভিতরে যান্ত্রিক ত্রুটি হলে বা আগুন লাগলে, নিজে থেকে খুলে যাবে রিলে রুমের দরজা।
করমণ্ডল ও যশোবন্তপুর এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর থেকেই একটি বিষয় প্রায় স্পষ্ট হয়ে গেছে, ঘটনার নেপথ্যে সিগন্য়াল ও পয়েন্টের গন্ডগোলে। মেন লাইন ধরে যাওয়ার জন্য করমণ্ডলকে সবুজ সিগন্য়াল দেওয়া ছিল।কিন্তু, পয়েন্ট দেওয়া ছিল লুপ লাইনে।কিন্তু সিগন্য়াল ও পয়েন্টের সমন্বয় ছিন্ন হল কী করে? যান্ত্রিক ত্রুটি না কি অন্তর্ঘাত?এই সব প্রশ্ন ঘিরেই নজরে এখন রিলে রুমের নিরাপত্তা।
এদিকে বড়রা ছড়াচ্ছেন গুজব, আর ভূতের ভয়ে কাঁটা হয়ে যাচ্ছে পড়ুয়ারা। ভয় কাটাতে ভেঙে ফেলা শুরু হল বাহানাগা হাইসকুলের প্রাথমিক বিভাগের বিল্ডিং। আপাতত সকুলের নির্মীয়মাম বিল্ডিংয়ে নেওয়া হবে প্রাথমিকের ক্লাস। গুজবের জেরে স্কুল বিল্ডিং ভেঙে ফেলার প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যুক্তিবাদীরা।
আরও পড়ুন: Diabetes in India: চোখ রাঙাচ্ছে ডায়াবেটিস! গোয়ায় সর্বোচ্চ, ICMR রিপোর্টে বাংলার ছবিটা কী?