কলকাতা: মাত্র চার বছর। তার মধ্যেই ভারতে লাফিয়ে বাড়ল ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা।  ২০১৯ সালে ভারতে ডায়াবেটিস আক্রান্ত ছিলেন ৭০ মিলিয়ন। ২০২৩ সালে ভারতে সেই সংখ্যাটা এসে দাঁড়িয়েছে ১০১ মিলিয়নে। উদ্বেগের এই পরিসংখ্যান উঠে এসেছে ICMR-এর একটি সমীক্ষায়। ইংল্যান্ডের মেডিক্যাল জার্নাল Lancet-এ প্রকাশিত রয়েছে সেই গবেষণাপত্রটি। গবেষণায় রয়েছে রাজ্যভিত্তিক রিপোর্টও। সেখানে দেখা গিয়েছে বেশ কিছু রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা। এই ক্ষেত্রে লাগাম টানতে সরকারি স্তরে পদক্ষেপের কথাও বলা হয়েছে গবেষণাপত্রে।  


প্রি ডায়াবেটিকের সংখ্যাটাও ভয় ধরানোর জন্য যথেষ্ট। ওই গবেষণা পত্র বলছে অন্তত ১৩৬ মিলিয়ন নাগরিকের প্রি ডায়াবেটিস রয়েছে।


ভারতে সবচেয়ে বেশি ডায়াবেটিস আক্রান্ত রয়েছে গোয়া, পন্ডিচেরি এবং কেরলে। জাতীয় গড়ের প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যক বাসিন্দা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এই জেলা ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। যেখানে জাতীয় গড় ১১.৪ শতাংশ, সেখানে ওই রাজ্যগুলিতে ২৫ শতাংশেরও বেশি। ডায়াবেটিসে আক্রান্তের হিসেব অনুযায়ী বাংলাও সর্বোচ্চ স্তরে রয়েছে। ১০ শতাংশেরও বেশি সেটা। বেশ কিছু রাজ্যে ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে ওই রিপোর্টে। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার এবং অরুণাচল প্রদেশে আগামী কয়েক বছরে ডায়াবেটিকদের সংখ্য়া আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। কোনও কোনও রাজ্যে ডায়াবেটিকদের সংখ্যা কম হলেও প্রি-ডায়াবেটিকদের সংখ্যা অনেকটাই বেশি।  


ডায়াবেটিস একধরনের নন কমিউনিকেবেল ডিজিজ। ভারতে এই ধরনের রোগ বৃদ্ধি ঘটনা ঘটছে। 


আরও পড়ুন: নিমের পাতা রক্তের সুগার লেভেল কমতে সাহায্য করে! কীভাবে খাবেন?

 
নন কমিউনিকেবেল ডিজিজ (non communicable) কী?
এগুলো এমন ধরনের রোগ এক ব্যক্তির দেহ থেকে আর এক ব্যক্তির দেহে যায় না। এগুলো সংক্রামক রোগ নয়। পার্কিনসনস, অ্য়ালঝেইমার্স, অটো- ইমিউন ডিজিজ, স্ট্রোক, অধিকাংশ হৃদরোগ. কিডনির রোগ, অধিকাংশ ধরনের ক্যানসার, অস্টিওআর্থারাইটিস বা অস্টিওপোরোসিস। এগুলো নন-কমিউনিকেবেল ডিজিজের মধ্যে পড়ে।  


পুষ্টিকর খাবার, সময়মতো খাবার খাওয়া, নিজের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখা---এমন নানা পদক্ষেপের মাধ্যমে সুস্থ জীবনযাপন করা সম্ভব। বিশেষ করে ভারতীয়দের ক্ষেত্রে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার সুযোগ বা অভ্যাসের অভাব থাকায় এই ধরনের রোগের সমস্যা আরও প্রকট হচ্ছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একটি বড় অংশ। 


আরও পড়ুন:  ডায়াবেটিস দূরে রাখতে ভরসা দারচিনি, সঙ্গী গরম জল