বিটন চক্রবর্তী, পার্থপ্রতিম ঘোষ, ঋত্বিক মণ্ডল, নন্দীগ্রাম: ভবানীপুরের উপনির্বাচনের ফল বেরোতেই সবুজ আবীরে ঢেকেছে নন্দীগ্রামের আকাশ। রবিবার সকাল থেকেই রাজ্যের পাশাপাশি নন্দীগ্রামের নজরও ছিল ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ফলের দিকে।
এদিন শুরু থেকেই এদিন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যান তৃণমূল নেত্রী।এরপর সময় যত এগিয়েছে, ততই ব্যবধান বাড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর দলনেত্রীর জয়ের রাস্তা যত পরিষ্কার হয়েছে, ততই নন্দীগ্রামে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে তৃণমূলের সেলিব্রেশন। 


রেয়াপাড়া, হাজরাকাটা, হোসেনপুর। সর্বত্রই ছিল উত্‍সবের মেজাজ। আবীর খেলা, আতসবাজি, মিষ্টিমুখ, বিজয় মিছিল, বাদ যায়নি কিছুই! ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম আসন থেকে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা রাজ্যে বিপুল সাফল্যের মুখ দেখলেও, নন্দীগ্রামের ফল তৃণমূলের কাছে কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। এরপর ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে, কলকাতা হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মামলা এখন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারাধীন। এরইমধ্যে উপনির্বাচনে ভবানীপুর থেকে প্রার্থী হয়ে রেকর্ড ভোটে জিতলেন তৃণমূল নেত্রী। 


এদিকে বিজেপি, তমলুক সাংগঠনিক জেলা সহ সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, ''মমতা একবার ফেল করেছেন। তাঁকে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিয়ে পাশ করতে হল। যতদিন রাজনীতি করবেন, ততদিন কানের কাছে বাজতে থাকবে নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর কাছে হেরেছেন।'' তবে নন্দীগ্রামের পাশাপাশি এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের খবর আসতেই কর্মীদের বিজয়োল্লাস দেখা যায় হলদিয়া, মহিষাদল, তমলুকের মতো জেলার বিভিন্ন অংশেও।


 ভবানীপুর উপনির্বাচনের ফলাফলে রেকর্ড গড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫৮ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। জয়ের হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি। তবে শুধু ভবানীপুর নয়  সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরেও বিপুল ভোটে জিতছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। তাই ভিকট্রি সাইন নয়, তিন আঙুল দেখিয়ে সেলিব্রেশন মমতার।


সামশেরগঞ্জে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী আমিরুল ইসলাম। ২৬ হাজার ১১১ ভোটে জয়ী আমিরুল ইসলাম। জঙ্গিপুরে ৭১ হাজার ৬৬৫ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী  জাকির হোসেন। জঙ্গিপুরে তৃণমূলের এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত ভোট ৬৬.২১ শতাংশ। জঙ্গিপুরে বিজেপির এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত ভোট ২৫.৫৮ শতাংশ।