হিন্দোল দে, কলকাতা: মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) কোথায়? তিনি কি সত্যি যাদবপুর (jadavpur) সেন্ট্রাল রোডের (central road) বাড়িতে (residence) রয়েছেন? গত কালের পরও প্রশ্ন ছিল নানা মহলে। আজ সকালে ওই বাড়িরই একতলা থেকে এবিপি আনন্দের (Abp Ananda) ক্যামেরায় কথা বললেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। কোথাও যাননি, ফের জানালেন তিনি। সঙ্গে সংযোজন, স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চান।
কী বললেন?
৫৩/৩এ/১। যাদবপুর সেন্ট্রাল রোডের এই বাড়ি থেকে আজ সকাল ৯টা ২০ মিনিটে হঠাতই বেরিয়ে আসেন তিনি। তবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে মুখে আঙুল দিয়ে চুপ করার জন্য বলেন। তাঁর দাবি, গোটা বিষয়টি বিচারাধীন। তাই এই নিয়ে মন্তব্য করা উচিত নয়। তবে মানিকের মতে, অতীতেও তদন্তে সহযোগিতা করেছেন। ভবিষ্যতেও করবেন। সেই সঙ্গে জানালেন, এ বার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চান। তাঁর বাজার করার রয়েছে, ওষুধ কিনতে যেতে চান। সেই কারণেই আজ বাড়ি থেকে দাঁড়িয়েই কথা বললেন যাতে তিনি কোথায় রয়েছেন এই নিয়ে যাবতীয় সন্দেহ দূর করা যেতে পারে। উল্লেখ্য, তাঁকে নিচে এসে কথা বলতে অনুরোধ করা হলেও রাজি হননি মানিক।
কী হয়েছিল?
হালে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করেছে সিবিআই। গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তবে, এবিপি আনন্দকে ভিডিও কলে মানিক ভট্টাচার্য গত কালই জানিয়েছিলেন, যাদবপুরের ফ্ল্যাটে রয়েছেন তিনি। সিবিআইয়ের সঙ্গে সব রকম সহযোগিতাও করেছেন। আগামী দিনেও করবেন, আশ্বাস দেন তিনি। ভিডিও কলে তাঁকে বলতে শোনা যায়, 'আমি আমার যাদবপুরের ফ্ল্যাটেই আছি। এখানেই আছি। কোথাও যাওয়ার প্রশ্ন নেই। কোথাও যাইনি। কেন এই বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে, তার কোনও সদুত্তর আমার কাছে নেই। কারণ এই বিচারাধীন বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। কিন্তু যে সমস্ত সংস্থা আমাকে যখন যেভাবে, যা সহযোগিতার কথা বলেছে, সেগুলি আমার তরফ থেকে কখনও লঙ্ঘন করা হয়নি। কিন্তু কেন এই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে , আমি জানিনা। আমার স্বাভাবিক জীবনটাও নষ্ট হয়ে গিয়েছে।'
গোয়েন্দা সূত্রে অবশ্য খবর, গত ১ সপ্তাহ ধরে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও খোঁজ মেলেনি তাঁর। সমস্ত বিমানবন্দরে নোটিস দিচ্ছে সিবিআই। সিবিআইয়ের দাবি, মানিকের ফোন সুইচড অফ। কলকাতার ফ্ল্যাট ও নদিয়ার বাড়িতেও খোঁজ মেলেনি তাঁর, দাবি সিবিআই-র। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতেও পারেন মানিক ভট্টাচার্য, এমনই আশঙ্কা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার । তাই খোঁজ না পেয়ে এবার লুক আউট নোটিস জারি করে সিবিআই। তার পরই ভিডিও কলে এবিপি আনন্দের সঙ্গে কথা হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির।
এবার সশরীরে সামনে এলেন তিনি।
আরও পড়ুন:দুর্নীতি থেকে শিক্ষা রাজ্যের? কলেজের অধ্যাপকদের বদলি এবার অনলাইন পোর্টালে