সুনীত হালদার, হাওড়া: ফ্ল্যাটের সিঁড়িতেই ব্যবসায়ীকে (businessman) কুপিয়ে খুনের (murder) অভিযোগে চাঞ্চল্য হাওড়ার (howrah) শিবপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের (dead) নাম শেখ তৈয়ব আলি। গত কাল রাত ৯টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। মূল অভিযুক্ত কে, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কিছুটা ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে সূত্রের খবর, সন্দেহভাজন কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।


কী হয়েছিল? 
পুলিশ জানিয়েছে, চাঁদনি মার্কেটের ব্যবসায়ী শেখ তৈয়ব আলি গত কাল ৯টা নাগাদ শিবপুরের বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময়ই ঘটনাটি ঘটে। গাড়ি তখন সবে শেখ তৈয়বের বাড়িতে ঢুকেছে। তাঁর হাতে গাড়ির চাবিও তুলে দিয়ে গিয়েছেন গাড়িচালক। এমন সময়ই পিছন দিক থেকে তাঁর মাথার চপার দিয়ে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। মুহূর্তের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন ব্যবসায়ী। হামলার কথা জানতে পেরেই দ্রুত ছুটে আসেন ব্যবসায়ীর বাড়ির লোকজন ও পাড়াপ্রতিবেশি। দ্রুত খবর যায় শিবপুর থানায়, ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশও। দক্ষিণ হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় শেখ তৈয়ব আলিকে। কিন্তু তত ক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ব্যবসায়ীর মৃত্য়ুর খবর ছড়াতেই চাঞ্চল্য তৈরি হয় গোটা এলাকায়। ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশের পদস্থ কর্তারা। হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দা ও শিবপুর থানার পুলিশ আধিকারিকরা তদন্ত শুরু করেছেন। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ব্যবসায়ী বাড়িতে ঢোকার আগেই আততায়ী ওঁৎ পেতে ছিল। তবে হামলাকারী এক জন নাকি একাধিক সেটা জানতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


কেন খুন? 
তদন্তকারীদের প্রাথমিক ভাবে ধারণা, সম্ভবত পুরনো কোনও শত্রুতার জেরেই খুন হয়েছেন হাওড়ার ব্যবসায়ী শেখ তৈয়ব আলি। আপাতত যা জানা গিয়েছে, তাতে কোনও এক প্রতিবেশির সঙ্গে শত্রুতার জেরে এই খুন হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। তবে এই কারণ নিয়ে এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত নন তদন্তকারীরা। মূল অভিযুক্ত কে, সেটা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। আপাতত কয়েক জন সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে ঠিক হয়েছে। প্রসঙ্গত, হাওড়ার কোনও ব্যবসায়ীর উপর হামলার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। গত সেপ্টেম্বরেও দক্ষিণবঙ্গের এই জেলার আর এক ব্যবসায়ী পঙ্কজ সিংহকে শেক্সপিয়র সরণীর থানার এক কিলোমিটারের মধ্যে, গোর্কি সদলের সামনে গুলি করা হয়। সে সময় গুলি চালানো হয় দেশি পিস্তল থেকে। তবে সে বার ওই ব্যবসায়ীর শরীর থেকে ৬ ঘণ্টা অপারেশনের পর গুলি বের করা সম্ভব হয়েছিল।
শেখ তৈয়ব আলির ক্ষেত্রে সে রকম কোনও সুযোগ রইল না। 


আরও পড়ুন:কোচিং সেন্টারেই ধর্ষণের অভিযোগ ছাত্রীকে, নরেন্দ্রপুরে গ্রেফতার অভিযুক্ত শিক্ষক