কলকাতা : অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ( Abhishek Banerjee ) নেতৃত্বে চলছে তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচি ( Nabajowar ) । সেখান থেকে তিনি বৃহস্পতিবারই হুঙ্কার দিয়েছেন, , 'প্রধানমন্ত্রীর হাতে রিমোট থাকলে, আপনার হাতে ইভিএমের বোতাম আছে। অনেক হয়েছে নোটবন্দি, আর নোট বাতিল নয়, এবার প্রধানমন্ত্রীকে বাতিল করতে হবে।' নবজোয়ার শেষ হলেই বকেয়া ইস্যুতে দিল্লিতে আন্দোলন করেবেন বলে হুঙ্কার দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ ( Dilip Ghosh ) বলেন, ' অভিষেক এরকম ডায়লগ গত বারও দিয়েছিল। এবারেও এতো লোক এসে মমতার হাতে পায়ে ধরছে। বলছে আপনি আসুন, মোদির বিরুদ্ধে দাঁড়ান। উনি সাহস পাচ্ছেন না। কারণ উনি জানেন, মোদিজি যা করছেন, দেশের স্বার্থে করছেন। সাধারণ মানুষ খুব খুশি ২০০০ টাকার নোট বাতিলে। এই নোট বাজারে দেখা যায় না। কারও কারওর বাড়িতে দেখা যায়। কোথাও কোথাও লুকানো আছে। এবার সেগুলো বেরোবে। তাই মানুষ খুশি। যাদের ভয় আছে, ইলেকশনের টাকাটা জলে চলে গেল, তারাই প্রতিবাদ করছে। '
প্রসঙ্গ: এগরায় যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী
বিস্ফোরণকাণ্ডের ১০দিনের মাথায় শনিবার এগরায় যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকেলে যাবেন শালবনি। যোগ দেবেন অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচিতে। নবজোয়ারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগদান নিয়ে খোঁচা দেন দিলীপ ঘোষ। ' জঙ্গলমহল কি অভিষেক একা সামলাতে পারছেন না? কতদিন ওঁকে কোলে কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়াবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? ওঁকে একটু রাস্তায় ছাড়ুন। উনি ওঁকে পাঠিয়েই বুঝে গেছেন কতটা দম আছে। পুলিশ, এনভিএফ, সিভিক পুলিশ এইসব দিয়ে ভিড় করাতে হচ্ছে। পার্টির লোক কিছু নেই। কিছু কাটমানি খোর, গুন্ডা বদমাশ আছে। তাও কেউ রাস্তা আটকাচ্ছে, কেউ চোর বলছে। এরকম জননেতা বাড়ির ল্যাবটরিতে তৈরি। এদের দিয়ে সমাজের কিস্যু হবে না।' দিলীপ আরও বলেন , 'উনি দেখে নিচ্ছেন, বিক্ষোভ হবে কিনা। ওনাকে কেউ চোর চোর বলবে কিনা। উনি তো চোরের রানি। হয়তো কাল পুলিশ দিয়ে ছেয়ে দেবেন। কাউকে কাছে আসতে দেবেন না। হেলিকপ্টার থেকে নেমে স্পটে চলে যাবেন। যেমন বন্যা দেখতে যান। কিন্তু গ্রামে ঢোকেন না। এই ধরনের একটা হাওয়াই সফর করবেন।'
প্রসঙ্গ: শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতি দেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট
অন্যদিকে, মালদার হবিবপুরে শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতি দেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট। প্রশাসনের তরফে প্রথমে অনুমতি দিয়েও, পরে সভার অনুমতি বাতিল করা হয় বলে অভিযোগ তুলে, আদালতের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। যদিও, সেখানে কোনও সুরাহা মেলেনি । ১৫ দিন আগে পুলিশকে জানানো হয়নি, এই যুক্তিতে অনুমতি দিলেন না বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'এর আগেও ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে আবেদন করে আমরা সভা করেছি। কোর্টে গেছি। আমাদের বারবার কোর্টে যেতে হচ্ছে। কোর্ট যা মনে করেছেন, আদেশ দিয়েছেন। আমরা আগেও কোর্টের আদেশ মেনেছি। এখনও মানব।'