প্রকাশ সিন্হা, কলকাতা: গরু পাচারের তদন্তের সঙ্গে এবার জড়িয়ে গেল লটারি! সম্প্রতি অনুব্রত মণ্ডল ১ কোটি টাকা দামের লটারি (Lottery) জিতেছিলেন। এর নেপথ্যে কি রয়েছে কোনও আর্থিক অনিয়ম? গরু পাচারের টাকা কি লটারির মাধ্যমে সাদা হয়েছে? উঠছে এমনই প্রশ্ন। তা নিয়ে এবার তদন্তে নামল সিবিআই! বোলপুরের গাঙ্গুলি লটারির এজেন্টকে নিজাম প্যালেসে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সিবিআই সূত্রে দাবি, অনুব্রতর লটারির টিকিট বোলপুরের এই দোকান থেকেই বিক্রি করা হয়েছিল। অনুব্রত নিজে এসে লটারির টিকিট কিনেছিলেন, না কি অন্য কে কিনেছিল, তা নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে লটারি এজেন্সির মালিককে। খবর সূত্রের।
চলতি বছরে জানুয়ারির মাসে লটারির টিকিটের ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। পুরস্কার বিজেতার ছবির নীচে নাম লেখা ছিল অনুব্রত মণ্ডল। ছবির নীচে ঠিকানা লেখা ছিল বীরভূর, পশ্চিমবঙ্গ। তার ঠিক পাশেই ছিল লটারি সংস্থার বিজ্ঞাপন। সেখানে লেখা ছিল মাত্র ৬ টাকার টিকিট কেটে প্রথম পুরস্কার ১ কোটি টাকা জিতেছেন এই ব্যক্তি।
সিবিআইয়ের দাবি:
গরু পাচারের (Cow Smuggling Case) টাকা কোথায় গেল, তা খুঁজতে গিয়েই লটারির বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে। তারপরই তদন্তকারীরা খোঁজ নিতে শুরু করেন যে গরু পাচারের কালো টাকা লটারির মাধ্যমে সাদা করা হয়েছে কিনা। সিবিআই (CBI) সূত্রে দাবি, তদন্তে নেমে জানা যায়, অনুব্রত মণ্ডলের নামে লটারির টিকিটটি কেনা হয়েছিল বোলপুরের একটি এজেন্সি থেকে। সেই এজেন্সির মালিক বাপি গঙ্গোপাধ্যায়কে বুধবার নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠানো হয়।
কীসের খোঁজ সিবিআইয়ের:
লটারি এজেন্সির মালিকের কাছে কাছে জানতে চাওয়া হয়, ওই টিকিট কে কিনেছিলেন? অনুব্রত মণ্ডল নিজে? নাকি তাঁর কোনও আত্মীয় বা কর্মী? লটারিতে এক কোটি টাকা জিতলে, বিজেতা কত টাকা হাতে পান? লটারি এজেন্সির কাছে এই সংক্রান্ত কী রেকর্ড থাকে?
যদিও যখন লটারির এই টিকিটের ছবি ভাইরাল হয়েছিল, তখন অনুব্রত মণ্ডল এই বিষয়টি অস্বীকার করেছিলেন। সম্প্রতি আর এক তৃণমূল নেতা এবং জোড়াসাঁকোর বিধায়ক বিবেক গুপ্তর স্ত্রীও লটারিতে এক কোটি টাকার পুরস্কার জিতেছেন। তা নিয়েও জলঘোলা হয়েছে।
আরও পড়়ুন: ‘অনুব্রত ছাড়া পেলে পঞ্চায়েত ভোট রক্তাক্ত হবে’ বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ