হাওড়া : বেলুড় মঠের (Belur Math) সারদা পীঠে আজ সাড়ম্বরে জগদ্ধাত্রীর আরাধনা (Jagadhatri Puja)। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মেনে, সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত, নবমী তিথিতে তিন প্রহরে সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমীর পুজো হয় সারদা পীঠে৷ গতকাল সন্ধেয় মায়ের আমন্ত্রণ ও অধিবাস হয়। আজ সারাদিন ধরে পুজো চলবে। সকাল ৬টায় পূর্বাহ্ন অর্থাৎ সপ্তমী, সকাল ১১টায় মধ্যাহ্ন অর্থাৎ অষ্টমী ও দুপুর ২টোয় অপরাহ্ন অর্থাৎ নবমী পুজো হবে। এরপর বিকেলে হোম ও পুষ্পাঞ্জলি।


আগামীকাল মায়ের দর্পণ বিসর্জন। ১৯৪১ সালে বেলুড়ের সারদা পীঠে জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা হয়। পুজো উপলক্ষে প্রতিবারের মতো এবারও বেলুড় মঠে ভক্ত সমাগম হয়েছে।


চন্দননগরে কুমারী পুজো


জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমী উপলক্ষ্যে চন্দননগর চার মন্দিরতলায়  কুমারী পুজো। চন্দননগরের বাগবাজার সর্বজনীনের জগদ্ধাত্রী পুজোয় কলকাতার বাগবাজারের মতোই বজায় রাখা হয়েছে সাবেকিয়ানা। প্রতিমার ডাকের সাজ। এবার জাঁকজমক সহকারে পুজো হচ্ছে।


কৃষ্ণনগরেও সাড়ম্বরে পুজো


কৃষ্ণনগরেও সাড়ম্বরে জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। চন্দননগরে চারদিনের পুজো হলেও, এখানে নবমী তিথিতে একদিনেই চারদিনের পুজো হয়। কৃষ্ণনগরের কাঁঠালপোতা বারোয়ারির পুজোয় জগদ্ধাত্রী ছোট মা নামে পূজিত হন। সকাল থেকে মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ভিড়। 


জাঁকজমকে জগদ্ধাত্রী পুজো


জগদ্ধাত্রী পুজো কখন উদযাপিত হয়? দুর্গা নবমীর এক মাস পর এই উৎসব পালিত হয়। এটি একটি চার দিনব্যাপী উত্‍সব যেখানে উত্‍সবটি পূর্ণ উত্‍সাহের সাথে জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপিত হয়। জগদ্ধাত্রী পুজো কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী থেকে দশমী পর্যন্ত পালিত হয়।  



ইতিমধ্যেই আলোর শহর চন্দননগরকে মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে। গত দু'বছর করোনার ফলে জগদ্ধাত্রী পুজোয় নানা বিধি নিষেধ ছিল। তাই চন্দননগরের উৎসব সেভাবে জমেনি। কিন্তু এ বছর করোনা থেকে অনেকটাই স্বস্তি মিলেছে। তাই এবার বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে মাতবে চন্দননগর তথা হুগলিবাসী। মনে করা হচ্ছে এবছর লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটবে জগদ্ধাত্রী পুজোয়। এবার পুজোর সপ্তমী থেকে একাদশী পর্যন্ত বাড়ানো হল লোকাল ট্রেনের (Local Train) সংখ্যা, খবর রেল (Rail) সূত্রে। যাত্রী সুবিধার্থে সারারাত চলবে লোকাল ট্রেন, এমনটাই জানান হয়েছে। পাশাপাশি নিরাপত্তাতেও কোন খামতি রাখছে না রেল ও রাজ্য পুলিশ (West Bengal Police)। 


আরও পড়ুন- জগদ্ধাত্রী পুজোয় বাড়ছে লোকাল ট্রেনের সংখ্যা, সারা রাত পরিষেবা পাবেন যাত্রীরা