মলয় চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: বৃষ্টি হয়েছে দিনপাঁচেক আগে। কিন্তু এলাকার ছবি দেখে সে কথা বোঝার উপায় নেই। ভয়ঙ্কর দুর্দশায় দিন কাটছে শিলিগুড়ির ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের। কী করছে পুরসভা? কেন বার বার আর্জি জানিয়েও পাশে পাওয়া যাচ্ছে না কাউন্সিলরকে? প্রতিবাদে ভক্তিনগর মেন রোড অবরোধ করলেন ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।
ক্ষোভে অবরোধ:
আজ প্রায় ঘণ্টাদুয়েক রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ এবং পুরসভার আধিকারিকদের আসতে হয়। শেষমেশ বিক্ষোভ উঠেছে। তবে পুরসভার ৪ নম্বর ব্যরোর চেয়ারম্যান জয়ন্ত সাহাকে আশ্বাস দিতে হয়, আগামিকাল অর্থাৎ শনিবার থেকেই ফুলেশ্বরী নদী সংস্কারের কাজ শুরু হবে।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, ফুলেশ্বরী নদীর সংস্কার না হওয়ার ফলেই তাঁদের এই দুর্গতি। গত সোমবার তুমুল বর্ষণে শিলিগুড়ির বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল। আবহাওয়া অফিসের হিসেব অনুযায়ী, ওই দিন বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ১৭৫ মিলিমিটার। তার পর থেকে ভোগান্তি চরমে। বিশেষত ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের অবস্থা শোচনীয়। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছেন এলাকার মানুষ। নিত্য প্রয়োজনীয় বহু জিনিস ভেসে গিয়েছে। বাসিন্দাদের খেদ, বিষয়টি নিয়ে বার বার ৩৫ নম্বর বরোর কাউন্সিলর শম্পা নন্দীর সাহায্য চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু তিনি পাশে দাঁড়াননি। অবশেষে বিক্ষোভ।
শম্পা নন্দীর যুক্তি, তিনি পুরসভাকে এলাকার পরিস্থিতি জানিয়েছিলেন। সঙ্গে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতেও আর্জি জানান। কিন্তু পুরসভার তরফে কিছু করা হয়নি। এহেন পরিস্থিতিতে তাঁর আর কিছু করার ছিল না।
নদী সংস্কারের অভাবেই ভোগান্তি:
প্রসঙ্গত, বর্ষার বৃষ্টিতে জল জমার ঘটনা নতুন নয়। তবে যে এলাকায় এবার দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে সেখানে আগে কখনও জল জমেনি। অপেক্ষাকৃত উঁচু এলাকা বলেই সেটির পরিচিতি। এবার তা হলে কী হল? স্থানীয়দের বক্তব্য, ফুলেশ্বরী নদীর সংস্কারের অভাবেই এই ভোগান্তি। আজকের পর সমস্যা মিটবে কি? উত্তরের অপেক্ষায় অনেকে।
আরও পড়ুন: সপ্তাহান্তে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা, রয়েছে বজ্রপাতের পূর্বাভাসও