সনৎ ঝা, দার্জিলিং: বেসরকারি সংস্থাকে (Private enterprise) জমি হস্তান্তর (land transfer) করার প্রতিবাদে (protest) বিক্ষোভ (agitation) শুরু উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে (North Bengal University)। শিক্ষামন্ত্রী (education minister) ব্রাত্য বসুর (bratya basu) বৈঠক চলাকালীন বাইরে প্রতিবাদ শুরু উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচাও কমিটির সদস্যদের (members)। অভিযোগ, বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা (attack) করেছে টিএমসিপি (TMCP) সদস্যরা। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের। 


কী হচ্ছে?
বেলার দিকে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে বলে খবর। এমনকি একটা পর্যায়ের বৈঠকও হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ের বৈঠক চলছে। কিন্তু অশান্তির আবহের মাঝে ইতিবাচক খবর একটাই। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি যে বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়ার কথা হচ্ছিল, তা খারিজ হয়ে গিয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, এই নিয়ে ক্যাবিনেটে যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল তাতে ঠিক হয় জমি একটি সরকারি দফতর থেকে আর একটি সরকারি দফতরে যাচ্ছে। কিন্তু এদিন তিনি জানিয়ে দেন, সরকার জমি হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত সার্বিক ভাবেই প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। ভবিষ্যতে কোনও প্রকল্প হলেও পর্যটন দফতর আলাদা করে জমি নিয়ে করবে। এই বিষয় নিয়ে গত এক মাস ধরে আন্দোলন চলছিল। ঘটনা হল, এই বিষয়টি নিয়ে গত এক মাস ধরে আন্দোলন চলছিল। আজ ব্রাত্য বসু বৈঠকে এলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন  উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচাও কমিটির সদস্যরা। অভিযোগ, তাঁদের তখন মারধর করে টিএমসিপি। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। 


হামলা-প্রসঙ্গে...
বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাঁরা যখন মাইক লাগাচ্ছিলেন তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে উপাচার্যের নির্দেশের কথা বলে বাধা দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীরা উপাচার্যের লিখিত নির্দেশ দেখতে চাইলে তিনি দেখাতে রাজি হননি বলে অভিযোগ। উল্টে নিরাপক্ষারক্ষীদের মাইক ইত্যাদি সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। ঠিক তখনই এক 'বহিরাগত'-র নেতৃত্বে হামলা চলে তাঁদের উপর, দাবি বিক্ষোভকারীদের।


বিক্ষোভ গত মাস থেকে...
বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি বেসরকারি সংস্থাকে হস্তান্তরের চেষ্টা করা হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে গত মাসের শেষ দিকে পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের একাংশের বিক্ষোভ চলছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ক্যাম্পাস। গত মাসে এই নিয়ে উপাচার্যের অফিসের সামনে বিক্ষোভ হয়। ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে। সেই সময় অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এদিন শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠক করতে আসার আগে যে ভাবে বিক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়েছিল, তাতে ছবিটা অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে যায়। যদিও পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসে গিয়েছিল বলে দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের।  


আরও পড়ুন:বাড়ছে সংক্রমণ-মৃত্যু, আজই জরুরি ভিত্তিতে করোনা নিয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রক