কলকাতা: বিস্তর হাঁকডাক উঠেছিল বটে। কিন্তু ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের পর থেকেই বঙ্গে বিজেপি-র (BJP) নির্বাচনী গ্রাফ নিম্নমুখী।  ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন, লোকসভা, বিধানসভার উপনির্বাচন,  কলকাতা সহ শতাধিক পুরসভার ভোটে গেরুয়া শিবিরের ক্ষয়ের ধারা অব্যাহত। আগামী বছর আবার পঞ্চায়েত নির্বাচন আসছে। তার আগে বঙ্গে সংগঠনের পুনর্গঠনের কাজে হাত দিল বিজেপি (West Bengal BJP)।  


সংগঠন পুনর্গঠনের কাজে হাত দিল বিজেপি


দু'দিনের বঙ্গ সফরে এসেছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। তাঁর উপস্থিতিতেই রাজ্যে বিজেপি-র নীচের স্তরের  শক্তিকেন্দ্র ও বুথ কমিটিকে মিশিয়ে দেওয়া হল। শক্তিকেন্দ্র এবং বুথ কমিটিকে মিলিয়ে গঠন করা হল অঞ্চল কমিটি।   বুথে বুথে ভোটের সময় যথেষ্ট সংখ্যায় কর্মীর অভাবেই এই সিদ্ধান্ত বলে সূত্রের খবর। 


রাজ্যে রাজ্যে বিজেপির সাংগঠনিক স্তরে শীর্ষে রয়েছে রাজ্য কমিটি। রাজ্য কমিটির নীচে জোনাল কমিটি , তার নীচে জেলা কমিটি। জেলা কমিটির নীচে  মণ্ডল কমিটি, মণ্ডল কমিটির নীচে শক্তিকেন্দ্র এবং তার নীচে রয়েছে বুথ কমিটি। বৃহস্পতিবার শক্তিকেন্দ্র এবং বুথ কমিটিকে মিলিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানাল বিজেপি। 


আরও পড়ুন: Bengal BJP : জে পি নাড্ডার বঙ্গসফরের মাঝে বাংলা ভাগ নিয়ে বিভক্ত বিজেপি


২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে, একের পর এক ভোটে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। পুরভোটে কোনও কোনও জায়গায় তারা বামেদেরও পিছনে রয়েছে। তার মধ্যে দলে অন্তর্দ্বন্দ্বও লেগে রয়েছে।  এই আবহে রাজ্যে বিজেপির সংগঠনকে চাঙ্গা করতে বাংলায় তিনদিনের সফরে এসেছেন নাড্ডা। তাঁর উপস্থিতিতেই এই সংমিশ্রণ ঘটানো হল।


নাড্ডার উপস্থিতিতেই রদবদল


বৃহস্পতিবার সফরের শেষ দিনে বেলুড় মঠ যান নাড্ডা। সেখানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এর পর দুপুর ২টোয় সায়েন্স সিটিতে রাজ্যের সমস্ত মণ্ডল সভাপতিদের নিয়ে সম্মেলনে যোগ দেন নাড্ডা। সেখান থেকে কলামন্দিরে যান। তার পর বিকেল সওয়া ৪টে নাগাদ কলকাতার বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে আলাপচারিতা ছিল। এর পর সন্ধে ৬টার বিমানে দিল্লি ফিরে যান।