কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) আগে ভাঙড়ে (Bhangar) আইএসএফে (ISF) ভাঙন। সওকত মোল্লা, আরাবুল ইসলামদের হাত ধরে তৃণমূলে (TMC) নাম লেখালেন নৌশাদ সিদ্দিকির দলের শতাধিক কর্মী, সমর্থক।
দলত্যাগীদের বেশিরভাগই ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড আন্দোলনের শরিক ছিলেন। দলত্যাগ নিয়ে জমি, জীবিকা, বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির দাবি, দুর্নীতির অভিযোগে আগেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল তৃণমূলে যোগদানকারীদের।
অন্যদিকে, আইএসএফে ভাঙন ধরানোর পর, নৌশাদ সিদ্দিকির দলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লা। তৃণমূল নাটক করছে বলে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক।
গত মাসেই নৌশাদের পথসভার মঞ্চ খুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যার জেরে তৃণমূল-ISF সংঘর্ষে ফের উতপ্ত হয় ভাঙড়। আইএসএফ সূত্রে দাবি, আইন-শৃঙ্খলা ইস্যুতে ভাঙড়ে নৌশাদ সিদ্দিকির রবিবারের পথসভা বাতিল করেছে পুলিশ। অথচ সেই ভাঙড়েই সদলবলে মিছিল করেন তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লা। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, উল্টে তাদের ক্লাব ভাঙচুর করে মারধর করে ISF কর্মীরাই।
ওই ঘটনায় ৪ জন ISF সমর্থককে গ্রেফতার করেছিল ভাঙড় থানার পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, মারধর, ভাঙচুর-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, তৃণমূলকে হারিয়ে ভাঙড় বিধানসভার যুদ্ধে জিতেছিল আইএসএফ। এবার সামনে পঞ্চায়েতের লড়াই। তা নিয়েই চ্যালেঞ্জ, পাল্টা চ্যালেঞ্জে তেতে উঠছে ভাঙড়ের মাটি। তৃণমূল নাকি আইএসএফ, কার হাতে থাকবে এলাকার রাশ? পঞ্চায়েত ভোটের আগে দুই শিবিরের টক্কর ক্রমেই তীব্র চেহারা নিচ্ছে। এরই মাঝে দলবদলের ঘটনায় নৌশাদের শিবিরে অস্বস্তি বেড়েছে।
তবে শুধু ভাঙরে নয়, উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ায় আইএসফ ও তৃণমূলের সংঘর্ষ ঘিরে তুলকালাম হয়েছিল বেশ কিছুদিন আগে। আহত হয়েছিল উভয় পক্ষের ১০ জন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দোকান, বাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ তুলেছে আইএসএফ। বিজেপির মদতে আইএসএফ অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে, দাবি করেছে তৃণমূল। পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপিও।
আরও পড়ুন, দিনের বেলা ঘুমানো ভাল না ক্ষতিকর? জেনে নিন কী বলছে গবেষণা?