কলকাতা: আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (Aliah University Controversy) উপাচার্যর ঘরে ঢুকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি এবং খুনের হুমকি দেওয়ায়, গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত ছাত্রনেতা গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলকে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নজিরবিহীন ঘটনা, যেখানে ঘরে ঢুকে উপাচার্যকে তুই তোকারি করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে শোনা যায় বহিষ্কৃত ছাত্র নেতাকে, তা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন বিশিষ্টজনেরাও। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন সকলে।


অভিযুক্তের মুখের ভাষা এতটাই অশালীন যে সম্পূর্ণ আকারে প্রকাশের অযোগ্য


তৃণমূলের (TMC) ছাত্র সংগঠনের প্রাক্তন ইউনিট প্রেসিডেন্ট গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলের মুখের ভাষা এতটাই অশালীন, যে তা সম্প্রচারের অযোগ্য। ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও ঘিরেই রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। শিক্ষাঙ্গনে এমন বেনজির ঘটনায় সরব হয়েছেন শিক্ষাবিদরা। ফোনে এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে মুখ খোলেন শিক্ষাবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়িও (Nrisingha Prasad Bhaduri)। তিনি বলেন, “বাম আমলেও দেখেছি এমন ঘটনা।  কিন্তু এরা যদি তা রপ্ত করে, তা ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক।শিক্ষার মাথায় যাঁরা রয়েছেন তাঁরা নিন্দা করছেন। আমিও তীব্র নিন্দা করছি। প্রশাসন নজর দেবে। শাসন করবে।”


শিক্ষাঙ্গনে দুর্বৃত্তদের দাপাদাপি হচ্ছে বলে অভিযোগ করে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশিষ্টজনেরা। নাট্যব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত (Rudraprasad Sengupta) বলেন, “কতগুলো দুর্বৃত্ত। ছাত্রদের কাছে আবেদন গিয়াসুদ্দিনের মতো লোক কী ভাবে থাকে? নেতাদের কাছে প্রশ্ন, কেন প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে?”


আরও পড়ুন: Asansol ByPoll: ভিডিও বার্তায় অগ্নিমিত্রা পালকে জেতানোর বার্তা মিঠুনের।Bangla News


নাট্যব্যক্তিত্ব কৌশিক সেন (Kaushik Sen) বলেন, “যে এই কাজ করেছে, সে সব জায়গায় একই রুচি দেখাবে। কোনও নেতা হওয়ার যোগ্য নয়। ও সমাজবিরোধী। উপাচার্যর ঘরে ঢুকে ছাত্রনেতার এমন কীর্তি দেখে, কেউ কেউ অভিযোগ করছেন। এই ঘটনা প্রমাণ করছে, শুরু হয়েছে সামাজিক অবক্ষয়ের।“ অভিনেতা বাদশা মৈত্র (Badshah Moitra) বলেন, “বাংলার সংস্কৃতি পাল্টাচ্ছে। বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। নেতা-মন্ত্রীদের দেখেই সবাই শিখছে। কেন এমন ঘটনা বাড়ছে তা বোঝা দরকার।”


ভাইরাল ভিডিও ঘিরে উত্তাল বাংলা


প্রবল বিতর্ক শুরু হতে, ঘটনার ২ দিন পর রবিবার অভিযুক্ত ছাত্রনেতা গিয়াসউদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভাইরাল ওই ভিডিওতে উপাচার্যকে লক্ষ্য করে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, “এবার ডাক। এখান থেকে ফোন কর। এই আলিয়ার বেহাল অবস্থা কে করেছে? আলিয়ার বেহাল অবস্থা করার জন্য তুই....”। উপাচার্যকে দেওয়া হয় খুনেও হুমকিও! TMCP-র প্রাক্তন ইউনিট প্রেসিডেন্টের মুখের ভাষা এতটাই অশালীন, যে তা সম্পূর্ণ আকারে প্রকাশের অযোগ্য। ঘটনাটি ঘটেছে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। বহিষ্কৃত ছাত্রনেতার হুমকি এবং অশালীন ভাষার মুখে উপাচার্য মহম্মদ আলি। ভাইরাল ভিডিওতে অভিযুক্ত বলতে শোনা যায়, “না হলে দুটো গালে চড়িয়ে দেব। বাঁদর চড়ানো। আমার চড় প্রচুর লাগে। যে ক’টা তোর ছেলে আছে জিজ্ঞেস করবি।”