অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: মাত্র এক বছরেই আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে নাকি গায়েব হয়েছে ৩২১ টি জন্তু! এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। দায়ের হল মামলা। যদিও আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের দাবি এই ভুল প্রযুক্তিগত ত্রুটি।
আলিপুর চিড়িয়াখানায় জল-জঙ্গলের প্রাণীদের দেখতে এখানে ভিড় জমান অনেকেই। ব্রিটিশ আমলের ঐতিহ্যবাহী সেই চিড়িয়াখানা থেকেই নাকি গায়েব হয়ে যাচ্ছে বন্য প্রাণীরা। সেন্ট্রাল জু অথরিটির তরফে আলিপুর চিড়িয়াখানায় প্রাণির সংখ্য়া নিয়ে যে রিপোর্ট উঠে এসেছে তা উদ্বেগজনক। সূত্রের খবর, ২০২৩-২০২৪ সালেও যেখানে আলিপুর চিড়িয়াখানায় বন্যপ্রাণীর সংখ্য়া ছিল ৬৭২। সেখানে ২০২৪-২০২৫-এ তা কমে হয়েছে ৩৫১। মাত্র ১ বছরেই কমেছে ৩২১ টি প্রাণী। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য় বহ্নি চক্রবর্তী বলেন, "জন্তুর সংখ্য়া কমে যাচ্ছে আমরা আমরা হাইকোর্টে মামলা করেছি। মূল চিড়িয়াখানার পশু-পাখি অনেক অবলুপ্ত হয়ে গেছে। কীভাবে হয়েছে তার রহস্য আমরা জানিনা।'' অবসরপ্রাপ্ত IAS অফিসার জহর সরকার বলেন, "কয়েক বছর আগে ছিল ১৮৭০। এখন গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫১। ৩২১ -৩২২ টির কোনও হদিশ নেই এক বছরে, কোথায় যাচ্ছে প্রাইভেট জু তে বিক্রি করা হচ্ছে? না বিদেশে চালান হচ্ছে?''চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে, তাঁদের পাঠানো তালিকায় প্রযুক্তিগত ত্রুটি ছিল। আলিপুর চিড়িয়াখানার ডেপুটি ডিরেক্টর পিয়ালি চট্টোপাধ্য়ায় সিন্হা বলেন, "আমাদের এটা নজরে এসেছে। এটা একটা প্রযুক্তিগত ত্রুটি। আমরা এটাকে সংশোধন করে নিচ্ছি। আমাদের যে সংশোধন লিস্টটা সেটা আমরা পাঠিয়ে দেব।'' স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আরও অভিযোগ, আলিপুর চিড়িয়াখানার জমির একাংশ বিক্রি করতে দরপত্রও ডাকা হয়েছে। যদিও আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এবিষয়ে মন্তব্য করা তাঁদের এক্তিয়ারের মধ্য়ে পড়ে না। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য় বহ্নি চক্রবর্তী বলেন, "অভিযোগ এটাই চিড়িয়াখানার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে যা কিছু কর্মক্ষেত্র বা কর্মযজ্ঞ চলে সেগুলোর একটা পার্ট যেটা রাস্তার ওপারে চিড়িয়াখানার উল্টো দিকে সেটা আমাদের সরকার বিক্রি করতে যাচ্ছে।''