অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: জয়ন্তীতে (Jayanti) অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ল বন দফতর (Forest Department)। স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। শেষ পর্যন্ত ফিরে আসেন বনকর্মীরা। তবে এ ব্যাপারে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হবে বলে জানিয়েছেন বনাধিকারিক।


পাহাড়ের কোলে বয়ে চলছে জয়ন্তী নদী (Jayanti River)। সেখানেই পর্যটনের জন্য তৈরি হচ্ছিল কংক্রিটের ৩ তলা লজ। শুক্রবার সকালে এই নির্মাণ ভাঙার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) জয়ন্তীতে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প (Buxa Tiger Reserve) এলাকায় এই নির্মাণ অবৈধ দাবি করে, জেসিবি নিয়ে এদিন লজটি ভাঙতে আসেন বন দফতরের (Forest Department) লোকেরা। অভিযোগ, তখনই বাধা দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।


বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই এলাকায় কংক্রিটের তিন তলা নির্মাণ নিয়ম বিরুদ্ধ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই এলাকা পর্যটন নির্ভর। লজ হলে পর্যটক আসবে। আয় হবে এলাকাবাসীর। তাঁদের কথায়, এক্ষেত্রে পূর্ত দফতর (PWD) ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের বাংলোর কংক্রিটের নির্মাণ নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।


জয়ন্তীর বাসিন্দা কাজল মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বন দফতর জেসিবি নিয়ে ভাঙতে এসেছিল। স্থানীয় মানুষ বাধা দেয়। তিন তলা পাকা কনস্ট্রাকশনষ এখানে হতে পারে না বলেই জানি। দেখতে পাই, সরকার নিয়ম ভেঙেছে। পিডব্লুডি (PWD) ও পিএইচই-বাংলে সেভাবেই তৈরি। বন দফতর চলে যায়। সাত দিনের সময় যায়। এখানাকার মানুষের রোজগার পর্যটন ব্যবসা। পর্যটন বন্ধ হলে মানুষ সমস্যায় পড়বে।


সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হবে, জানিয়েছে বন দফতর। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের (Buxa Tiger Reserve)  উপক্ষেত্র অধিকর্তা বুদ্ধরাজ শেওয়া বলছেন, আমাদের কাছে খবর ছিল রিজার্ভ ফরেস্ট (Reserve Forest) ল্যান্ডে অবৈধ নির্মাণ হয়েছে। আমরা সত্যতা যাচাই করি ইন্ডিয়ান ফরেস্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী উচ্ছেদের জন্য যাই। স্থানীয়রা বাধা দেয়। সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় পুলিশের কাছে অভিযোগ করব। এ ব্যাপারে প্রতিক্রয়ার জন্য যোগাযোগ করা যায়নি নির্মীয়মাণ লজের মালিকের সঙ্গে।