কানপুর: গ্রিন পার্ক টেস্টে অভিষেক ইনিংসেই শতরান। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১০ নম্বর ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে দেশের মাটিতে টেস্ট অভিষেকে শতরান করেন শ্রেয়স (Shreyas Iyer ) । কানপুরের পিচে অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি পাননি কোনও ভারতীয়ই। গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথের পরই সেই তালিকায় নাম তুললেন শ্রেয়স আইয়ার। এই টেস্টের আগে গাওস্করের (sunil gavaskar) হাত থেকে টেস্ট ক্যাপ পেয়েছেন তিনি।       

  


এদিনের খেলার শেষে শ্রেয়স সাংবাদিক বৈঠকে এসে জানিয়ে দিলেন যে তিনি তাঁর কোচের কথা রেখেছেন। এবার তাঁর একটা ইচ্ছপূরণ করতে চান। শ্রেয়স বলেন, ''প্রবীণ আমরে স্যার আমার পাশে সবসময় থেকেছেন। যখনই আমি কোনও সমস্যায় পড়েছি ওঁনার কাছে ছুটে গিয়েছলাম। আমাকে উনি বলেছিলেন যে কেরিয়ারে তুমি অনেক সাফল্য অর্জন করেছ, কিন্তু টেস্ট ক্যাপ পাওয়াটাই আসল লক্ষ্য হওয়া উচিত। স্যার আরও বলেছিলেন যে আমি যদি টেস্টে সেঞ্চুরি করতে পারি, তবে উনি আমার সঙ্গে ডিনার করবেন। আশা করি এবার সেই সুযোগটা আমি পাব। স্যারের কথা রেখেছি। এবার স্যারকে ডিনারে আমন্ত্রণ জানাব।''


প্রথম দিন অপরাজিত অর্ধশতরান হাঁকিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন। সেঞ্চুরির চিন্তা মাথায় আসছিল না? মুম্বইকর বলছেন, ''প্রথম দিন থেকে যা যা এখন হয়েছে, তার জন্য আমি অত্যন্ত খুশি। আগেরদিন রাতে ভাল করে ঘুমোতে পারিনি। বিশেষত অপরাজিত থেকে ঘুমোতে যাওয়া বেশ কঠিন একটা ব্যাপার। গত কাল আমি ভালই ব্যাটিং করেছি। কিন্তু রাতে ঠিক করে ঘুমোতে পারিনি। ভোর পাঁচটাতেই উঠে পড়েছিলাম। কিন্তু শতরান পাওয়ার পরে আমি প্রচণ্ড খুশি।”


সীমিত ওভারের ফর্ম্য়াটে জাতীয় দলের অঙ্গ হলেও সাদা পোশাকের ক্রিকেটে এতদিন সুযোগ পাচ্ছিলেন। চোট-আঘাতও কেরিয়ারে বারবার বাধা তৈরি করছিল। সুনীল গাওস্করের থেকে ডেবিউয়ের ক্যাপ পাওয়ার অনুভূতি কেমন? শ্রেয়স বলছেন, ''আমি ভেবেছিলাম রাহুল দ্রাবিড় হয়তো আমার হাতে টুপি তুলে দেবেন। কিন্তু গাওস্কর স্যারকে দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবতেই পারিনি এ রকম কিছু আমার সঙ্গে হতে চলেছে। দু’জনেই  কিংবদন্তি। টুপি দেওয়ার সময় গাওস্কর স্যার আমাকে দারুণ ভাবে অনুপ্রাণিত করেছেন। অতীত ও ভবিষ্যৎ নিয়ে না ভেবে এই ম্য়াচ নিয়েই ভাবতে বলেছেন, যা আমি মেনে চলেছিলাম।''


আরও পড়ুন: শ্রেয়সের সেঞ্চুরির পাল্টা লাথাম-ইয়ং জুটির ব্যাটিংয়ে জমে গেল কানপুর টেস্ট