কলকাতা: সোনার দোকানে চুরির মামলায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পরোয়ানা। আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar News) ২০০৯-এ দু'টি সোনার দোকানে চুরির মামলায় পরোয়ানা জারি হল। নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ ছিল (Arrest Warrant)। এ বার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল আদালত। ‘আদালতে নিশীথের আইনজীবী না থাকায় জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা’, নিশীথের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে দাবি সরকারি আইনজীবীর। এ ব্যাপারে এখনও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রীর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।


২০০৯ সালের সোনার দোকানে চুরির মামলা


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালে আলিপুরদুয়ারে দু'টি সোনার দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। তাতে অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে নাম ওঠে নিশীথের। বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। ২০০৯ সালে নিশীথ সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর বারাসাতের বিধায়ক ও সাংসদদের জন্য নির্ধারিত বিশেষ আদালতে মামলাটি স্থানান্তরিত হয়।


পরে নিশীথের অনুরোধেই আবার মামলাটি আলিপুরদুয়ারে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার সেখানে মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু সেখানে নিশীথের কোনও আইনজীবী আদালত কক্ষে উপস্থিত ছিল না। এর পর জুডিশিয়াল থার্ড কোর্ট নিশীথের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এ নিয়ে ফোন করলেও, ধরেননি নিশীথ। তাঁর তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। 


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: আচমকা চায়ের দোকানে হাজির মমতা, কাগজে মুড়ে হাতে হাতে তুলে দিলেন চপ, তেলেভাজা


এ দিন সরকারি আইনজীবী জানান, নিশীথ এবং আরও অনেকের নাম রয়েছে মামলায়। নিশীথের নামে দু’টি মামলা দায়ের হয়। আলিপুর দুয়ার থার্ড কোর্টে গত ১১ নভেম্বর নিশীথের জন্য কোনও আইনজীবী অনুপ্সিথিতির পিটিশন জমা দেয়। কিন্তু সেটা আর এগোয়নি। তাই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। 


ওই আইনজীবী জানিয়েছেন, কোথাও ঢুকে চুরি করা এবং চোরাই মাল পাওয়ার ধারায় মামলা ছিল নিশীথের বিরুদ্ধে। আলিপুরদুয়ার থানা এলাকার একটি দোকানে ওই চুরির ঘটনা ঘটে। ২০০৯ সালেই তা নিয়ে মামলা দায়ের হয়। 


কোথাও ঢুকে চুরি এবং চোরাই মাল হস্তগত করার মামলা


এর আগে, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথের কনভয়ে হামলার অভিযোগ ঘিরে তরজা চরমে ওঠে। শাসকদল প্রতিরোধ করলে নিশীথ এলাকা থেকেই বেরোতে পারতেন না বলে হুমকির সুর শোনা যায় তৃণমূলের গলায়। তার পাল্টা জবাব দেয় বিজেপি-ও। শাসকদলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তোলে বিজেপি। পাল্টা দলীয় পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ তোলে তৃণমূল।