অরিন্দম সেন, ফালাকাটা : লোকসভা ও বিধানসভায় জয়ের পর এবার পুরসভা দখলে মরিয়া বিজেপি। মূলত জেলার নতুন পুরসভা ফালাকাটাকেই প্রথম টার্গেট করেছে বিজেপি। ফালাকাটা পুরসভা এলাকাকে তিনটি জোনে ভাগ করে ওয়ার্ড ভিত্তিক প্রচারের প্রস্তুতি বিজেপির। এদিকে বিজেপির কর্মকাণ্ড সাধারণ মানুষকে প্রত্যক্ষভাবে আঘাত করায় মানুষ শাসকদলের পক্ষেই ফিরে আসছে বলে দাবি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের। 


আলিপুরদুয়ার জেলার একমাত্র পুরসভা ছিল- আলিপুরদুয়ার। এর পর গত ২ অগাস্ট মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মতো আলিপুরদুয়ার জেলার নতুন পুরসভার নোটিফিকেশন হয়। মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়। আলিপুরদুয়ার পুরসভা শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে থাকলেও বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তা প্রশাসকমণ্ডলীর হাতে। ফলে, শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস যেমন আলিপুরদুয়ার পুরসভা দখলে রাখতে মরিয়া, তেমনি উন্নয়নকে হাতিয়ার করে ফালাকাটা পুরসভার দখল পেতে প্রচারে জোর শাসকদলের।  


পাশাপাশি, লোকসভা এবং বিধানসভায় পুরসভাভিত্তিক আসনে দুটি এলাকায় বিজেপি ছিল এগিয়ে। ফলে, আত্মবিশ্বাসী বিজেপি শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনুন্নয়নের অভিযোগ তুলে পুরসভা দখলের প্রস্তুতি নিতে চলেছে। 


সম্প্রতি গেরুয়া শিবিরে ভাঙন ধরে আলিপুরদুয়ারে। আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপির সম্পাদক যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। আলিপুরদুয়ার ২ নম্বর ব্লকের বিজেপি নেতৃত্বও যোগ দেন তৃণমূলে। বিজেপির মিথ্যা স্বপ্নে বিভোর হয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, তৃণমূলে যোগ দিয়ে মন্তব্য করেন অর্জুন দেবনাথ। উল্লেখ্য, গত অক্টোবর মাসেই রাজ্যে বাড়ে আরও দু’টি পুরসভা, ময়নাগুড়ি-ফালাকাটা। ১২৫টি থেকে বেড়ে রাজ্যে পুরসভা হয় ১২৭টি। 


প্রসঙ্গত, ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভা ও হাওড়া পুরসভায় ভোট করাতে চেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠিয়েছিল রাজ্য সরকার। ওই চিঠিতে দুটি পুরসভার ভোট গণনার জন্য ২২ ডিসেম্বর দিনটি ধার্য করে নবান্ন। রাজ্যের সেই প্রস্তাবে কমিশন সম্মতি দিয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু, বিরোধীদের দাবি, শুধু কলকাতা এবং হাওড়া নয়, সব পুরসভার ভোট একসঙ্গে করাক রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন।