অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: কাঠের টুকরো কুড়িয়েই দিন যাপন। হঠাৎ একটা কাগজের টুকরোই জীবন বদলে দেবে কে জানত! আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) কালচিনির (Kalchini) রাভা বস্তির জ্বালানি কাঠ বিক্রেতা সজত রাভার। জঙ্গল থেকে শুকনো কাঠ সংগ্রহ করে, তা বিক্রি করাই ছিল তাঁর পেশা। লটারি কেটে রাতারাতি ১ কোটি টাকার মালিক হলেন তিনি। 


বক্সার (Buxa) নিমতি রেঞ্জ জঙ্গল সংলগ্ন রাভা বস্তির বাসিন্দা তিনি। গত মঙ্গলবার (Tuesday) রাতে ৩০ টাকা দিয়ে নাগাল্যান্ড (Nagaland) রাজ্যের এক সেট লটারি টিকিট কেনেন ওই ব্যক্তি। বুধবার সকালে রেজাল্ট মেলাতে গিয়ে দেখেন লটারির প্রথম পুরস্কারের এক কোটি টাকা তিনি পেয়েছেন। প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেননি নিজের চোখকে। বুঝতেই পারেননি কী করবেন। এর পর পরিচিতদের পরামর্শে টিকিট নিয়ে কালচিনি থানায় (Kalchini Police Station) আসেন ওই প্রৌঢ়। থানা থেকেই করা হবে বাকি ব্যবস্থা। 


কাঠ কুড়িয়ে কীই বা রোজগার! দীর্ঘদিনের অভাব অনটনেই জীবনযাপন করেছেন। দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের এমন ভাগ্য ফেরায় খুশি হয়েছে পরিবার। আনন্দে চোখে জল প্রৌঢ়ের। বাকি জীবনটা স্ত্রীকে নিয়ে ভাল করে বাঁচতে চান। থানায় এসে সে কথাই জানিয়েছেন সজত রাভার। 


কিছুদিন আগে এভাবেই ভাগ্য বদলে গিয়েছিল মালদহের (Malda) এক ব্যক্তির। অভাবের সংসার। নিত্যদিন আর্থিক টানাটানি। চা বিক্রি করে পরিস্থিতি সামলানো যাচ্ছিল না। কিছু বাড়তি উপার্জনের আশায় লটারির টিকিটের ব্যবসায় নেমেছিলেন মালদার (Malda) এক যুবক। হতদরিদ্র সংসারে লটারির টিকিট কেনার মতো বিলাসিতা আদৌ ছিল না তাঁর। আর সেই লটারির টিকিট বিক্রির হাত ধরেই কপাল ফিরল তাঁর   রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেলেন মালদার  চা বিক্রেতা কমল মহলদার। তাঁর বয়স ৩৫। বিক্রি না হওয়া লটারির টিকিটে বাজিমাৎ হল। 


চা বিক্রির (Tea Seller) সঙ্গে সঙ্গে লটারির টিকিটও (Lottery Ticket) বিক্রি করতেন তিনি। সেদিন বিকেলে  ১২০ টাকার টিকিট অবিক্রিত থেকে যায় কমল মহলদারের। সেই টিকিটেই ভাগ্য খুলে যায় কমলের। সন্ধ্যা ৬ টা ১৫ মিনিটে জানতে পারেন তার অবিক্রিত টিকিটে এক কোটি টাকার পুরস্কার (1 Crore Rupees Prize) লেগেছে। 


প্রথমটা বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না তিনি। বারেবারে মিলিয়ে নিশ্চিত হন তিনি। এরপর আরও কোন ঝুঁকি না নিয়ে সটান হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় হাজির হন কমল মহলদার। সঙ্গে ছিল লটারির টিকিট।  কমল মহলদারের বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার কুশিদা হাটখোলা গ্ৰামে। বাড়িতে স্ত্রী দুই সন্তান ও বয়স্ক বাবা, মা আছেন। মা নির্মলা মহলদার কুশিদা বাজারে সবজি বিক্রেতা। লটারি থেকে যে টাকা পাবেন তা  দিয়ে দুই সন্তানকে ভালো শিক্ষার পেছনে খরচ করবেন কমল মহলদার। আপাতত এমনটাই ভেবে রেখেছেন তিনি।