অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: নাইরোবি ফ্লাই (Naibori Fly)-এর আক্রমণ বাড়ছে আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar)। বাড়ছে আতঙ্ক। চিকিত্সকদের পরামর্শ, এই নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সাবধান ও সতর্ক থাকতে হবে। কুমারগ্রাম ব্লকের খোয়ারডাঙায় অসুস্থ বেশ কিছু শিশু! আক্রান্ত আলিপুরদুয়ার শহরের অরবিন্দনগরের একাধিক বাসিন্দা!


ভোলারডাবড়ির বাসিন্দা মহিলার দু’হাতে পুড়ে যাওয়ার মতো দাগ! করোনা আবহের মধ্যেই আলিপুরদুয়ারে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে নাইরোবি ফ্লাই। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, বেশ কয়েক দিন ধরে এই পোকার আক্রমণ বাড়ছে জেলার বিভিন্ন এলাকায়। শিশু থেকে বড় - বাদ যাচ্ছেন না কেউ। সম্প্রতি সিকিমে নাইরোবি ফ্লাইয়ের দ্বারা সংক্রমিত হন অন্তত ১০০ জন পড়ুয়া। তারপর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে দার্জিলিং ও উত্তর দিনাজপুরে। 


নাইরোবি ফ্লাইয়ের আক্রমণে কী উপসর্গ দেখা দেয়? চিকিত্সকরা বলছেন, কামড়ানো বা হুল ফোটানোর কোনও দাগ শরীরে থাকে না। লাল হয়ে ফুলে ওঠে আক্রান্ত স্থান। আক্রান্ত স্থানে দেখা দেয় ফোস্কা। আক্রান্ত জায়গায় জ্বালা ও যন্ত্রণা অনুভূত হয়। আসে জ্বরও।


আরও পড়ুন: Exclusive Nairobi Fly Alert: সংস্পর্শে এলে ঘা হয়ে পুড়ে যায় চামড়া, নাইরোবি ফ্লাই থেকে বাঁচতে কী করবেন আর কী করবেন না?


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একনাগাড়ে কয়েক দিনের বৃষ্টির পর রোদ উঠলেই বিশেষ এই পোকার উপদ্রব বাড়ছে। চিকিৎসকদের ধারনা, এই সময় ঝোপঝাড় বেড়ে ওছে কীট-পতঙ্গের সংখ্যা বৃদ্ধি হয়। এই পরিবেশে বেড়ে উঠছে নাইরোবি ফ্লাই-ও। যেটি অ্যাসিড ফ্লাই বা কেনিয়ান ফ্লাই নামেও পরিচিত। 


আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের চিকিত্সক যুধীষ্ঠির দাস বলছেন, এই ধড়নের কীট-পতঙ্গ থেকে এক ধরনের প্রোটিন বের হয় যা অ্যাসিড জাতীয়। চামড়াকে পুড়িয়ে দেয়। ফলে, এই পোকা থেকে যতটা দূরে থাকা যায় তার চেষ্টা করতে হবে। ঝোপঝাড়ে গেলে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, প্রত্যেককেই ফুল শার্ট এবং প্যান্ট পরতে হবে। তবুও যদি ওই পোকা লেগে যায় তাহলে জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে, তারপর জ্বালা যন্ত্রণা করলে স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিত্সকদের পরামর্শ, এই নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সাবধান ও সতর্ক থাকতে হবে।


 


‘অ্যাসিড পোকার’ আতঙ্ক!