আলিপুরদুয়ার: ফের পাঁচ দফা দাবিতে ডুয়ার্সের (Dooars) লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লার (John Barla) বাড়ি ঘেরাও। অবস্থান বিক্ষোভে (Agitation) বসল  তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন (INTTUC)। তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি রাজেশ লাকড়ার নেতৃত্বে এই অবস্থান। 'কেন বাজেটে চা বাগান নিয়ে একটি শব্দ বলা হয়নি?' প্রশ্ন তুলেছেন আন্দোলনকারীরা। 'বাজেটে চা শ্রমিকদের জন্য বরাদ্দ হওয়া ১০০০ কোটি টাকা কোথায়?', এমনই একগুচ্ছ দাবিতে জন বার্লার বাড়ি ঘেরাও করা হয়েছে।


ফের পাঁচ দফা দাবিতে এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লার বাড়ি ঘেরাও করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বকেয়া ডিএ-এ দাবিতে আন্দোলনের ঝড় তুলছেন রাজ্য় সরকারি কর্মচারীরা। আর ঠিক সেই সন্ধিক্ষণেই পাল্টা পিএফ (PF) ইস্য়ুতে বিজেপিকে চাপের মুখে রাখার কৌশল নিয়েছে তৃণমূল (TMC)। উত্তরবঙ্গের কর্মসংস্থানের অন্য়তম প্রধান মাধ্য়ম চা বাগান। দোরগড়ায় পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023)। আর এই পরিস্থিতিতেই চা শ্রমিকদের একাধিক দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু প্রতিমন্ত্রী ও আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বিজেপি সাংসদ জন বার্লার বাড়ির সামনে বিক্ষোভে বসে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন INTTUC। যে প্রসঙ্গে জন বার্লা জানিয়েছেন, মালিকরা টাকা জমা দিচ্ছে না, রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না। গ্রেফতার করা দরকার।


জন বার্লার ডুয়ার্সের (Duars) লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানে রয়েছে বাড়ি। আর এই বাড়ি ঘেরাও করেই সম্প্রতি আরও একবার অবস্থানে বসেছিলেন জেলা INTTUC-র কর্মী সমর্থকরা। সেদিন তাঁদের দাবি-দাওয়া ছিল মূলত ৪ টি। গত কেন্দ্রীয় বাজেটে (Central Budget) চা শ্রমিকদের জন্য বরাদ্দ হওয়া ১ হাজার কোটি টাকার খরচের হিসেব দিতে হবে। অবসরপ্রাপ্ত চা শ্রমিকদের অবিলম্বে পিএফ মেটানো। ৫৮ থেকে বাড়িয়ে চা শ্রমিকদের অবসরের বয়স ৬০ করা।  চা শ্রমিকদের সন্তানদের জন্য স্কলারশিপ পুনরায় চালু করতে হবে।


আরও পড়ুন, 'সরকারি চাকরি' দেওয়ার নামে প্রতারণা, পুলিশের জালে 'চক্র'


PF বরাবরই শ্রমিকদের কাছে অন্তন্ত স্পর্শকাতর ইস্য়ু। ভবিষ্য়তের ভরসা। আর সুকৌশলে এই ইস্য়ু সামনে এনেই কেন্দ্রের বিজেপিকে (BJP) চেপে ধরতে চাইছে তৃণমূল (TMC)। সেই জন্যই কি জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি রাজেশ লাকড়ার নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ ? রাজ্যের বিরোধী দল গোটা বিষয়টার জন্য কাঠগড়ায় তুলেছে রাজ্য সরকারকে। তাই সবমিলিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, চা বাগানের গরিব মানুষগুলোর দুর্দশা আদৌ কি কোনওদিন ঘুঁচবে ? পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে ইস্যুটি কোনওদিকে মোড় নেয়, তা নিয়ে চাপানউতোর রাজনৈতিক মহলে।