অরিন্দম সেন, ফালাকাটা: মাছ ধরার জালে উঠে এল প্যাকেট বন্দি কয়েকশো রেশন কার্ড। ঘটনা ফালাকাটা (Falakata) ব্লকের ধনীরামপুর-২ অঞ্চলের। ঘটনা নিয়ে শুরু রাজনৈতিক তরজা। ঘটনা জানা নেই বলে দাবি জেলা খাদ্য দফতরের আধিকারিকের। ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জেলা খাদ্য দফতর।


মাছ ধরার জালে ডিজিটাল রেশন কার্ড: প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে এই সব রেশন কার্ডগুলি স্থানীয় মানুষদের নামেই রয়েছে। আলিপুরদুয়ার জেলা খাদ্য দফতরের আধিকারিক বাবুল চন্দ্র ভক্ত বলেন, “ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি সীমানায় ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ওই সব রেশন কার্ড চালুই রয়েছে। কোনও কারণে গ্রাহকের কাছে ওই সব রেশন কার্ড পৌঁছয়নি। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।”


জানা গিয়েছে, পোস্ট অফিসের মারফত রেশন কার্ড উপভোক্তাদের হাতে পৌঁছয়। মনে করা হচ্ছে, এই সব রেশন কার্ডগুলো পোস্ট অফিস থেকে বিতরণ করা হয়নি।  ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির ফালাকাটা ১ নম্বর মণ্ডলের সভাপতি বঙ্কিম চন্দ্র রায় ডাকুয়া বলেন, “মাছ ধরার জালে বস্তা বন্দি ডিজিটাল রেশন কার্ড উদ্ধার হয়েছে। বস্তায় প্রায় পাঁচশো রেশন কার্ড রয়েছে। রাজ্যে যে রেশন কেলেঙ্কারি হয়েছে এই ঘটনা তারই প্রমাণ।’’ বিষয়টি নিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি দেবব্রত পাল বলেন, “বিজেপি শুধু সমালোচনা আর বাজার গরম করতে পারে। মানুষের জন্য ওরা কোনও কাজ করতে পারে না। রেশন কার্ড নদীতে পাওয়া গিয়েছে। কোথা থেকে এই সব রেশন কার্ড এলো তা তদন্ত করছে প্রশাসন। কেউ দোষী হলে তার বিরুদ্ধে নিশ্চয়ই প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।”


গতকালই মালদার মানিকচক পঞ্চায়েত দফতর সংলগ্ন জলাশয় থেকে উদ্ধার হয়েছে শতাধিক রেশন কার্ড। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে মানিকচক থানার পুলিশ। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মানিকচকের বিডিও কারমবীর কেশব। রেশন কার্ড উদ্ধার হওয়ায় প্রশাসনিক গাফিলতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন এলাকাবাসী। তাঁদের, অভিযোগ, রেশন কার্ড পেতে বারবার প্রশাসনের কাছে ছুটতে হয়। আর এদিক পুকুরের মধ্যে উদ্ধার হচ্ছে রেশন কার্ড। তদন্তের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: Kalyan Banerjee: কল্যাণের পরিবর্তে নাদিমুল, কেন প্রতিনিধিদল থেকে বাদ শ্রীরামপুরের সাংসদ?