আশাবুল হোসেন, নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল থেকে শেষ মুহূর্তে বাদ পড়লেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC MP Kalyan Banerjee)। প্রথমে শ্রীরামপুরের সাংসদের নাম থাকলেও, পরে তাঁর জায়গায় প্রতিনিধিদলে রাখা হয় আরেক সাংসদ নাদিমুল হককে। 


প্রতিনিধিদল থেকে শেষ মুহূর্তে বাদ: তৃণমূল সূত্রে খবর, গতকাল সংসদ ভবনের মকর-দ্বারে প্রতিবাদ দেখানোর সময়, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়কে উপহাস করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। তাই বিতর্ক এড়াতে আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যের দাবি-দাওয়া সংক্রান্ত বৈঠকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে না রাখাই শ্রেয় মনে করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলনেত্রীর ইচ্ছাতেই তৃণমূলের প্রতিনিধিদল থেকে কল্যাণের নাম বাদ পড়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর।


সাসপেনশনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার ফের উত্তাল হয়েছিল সংসদ চত্বর। একজোট হয়ে বিক্ষোভ-অবস্থানে সামিল হয়েছিলেন বিরোধী দলের সদস্যরা। আর সেখানেই ধরা পড়ে বিতর্কিত এক ছবি। নতুন সংসদ ভবনের মকর দ্বারের সিঁড়িতে যখন বিরোধী দলের সাংসদরা বসে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, তখন অঙ্গভঙ্গি করে বেশ কিছু কথা বলতে শোনা যায় তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর কল্যাণের একেবারে সামনে দাঁড়িয়ে, তাঁর অঙ্গভঙ্গি মোবাইল ফোনে রেকর্ড করছিলেন রাহুল গাঁধী। কল্য়াণের একপাশে তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্যপাশে শতাব্দী রায়,সৌগত রায়, শান্তনু সেনরা বসেছিলেন। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে অঙ্গভঙ্গির মাঝে, নানা কথা বলতেও দেখা যায়। কল্যাণের পিছনে দাঁড়িয়েছিলেন অধীর চৌধুরীও। হাসতে হাসতে কার্যত লুটিয়ে পড়ার জোগার RJD সাংসদ মনোজ ঝার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, সোশাল মিডিয়ায় এই ভিডিও পোস্ট করে লিখেছিলেন, 'অশোভন এবং অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এটা রেকর্ড থাকল, যাঁরা সাংবিধানিক পদকে উপহাস করেন, কংগ্রেস তাঁদেরকে সমর্থন করে।' 


আর এই ঘটনাতেই তোলপাড় দেশ। যা নিয়ে নিন্দা করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বয়ং রাষ্ট্রপতিও। ফোন করে প্রধানমন্ত্রী দুঃখপ্রকাশ করেছেন বলে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে জানিয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়। পাশাপাশি তীব্র নিন্দা করেছেন দেশের রাষ্ট্রপতিও। এদিন এক্স হ্যান্ডলে দ্রৌপদী মুর্মু লিখেছেন, 'সংসদ চত্বরে উপরাষ্ট্রপতিকে যেভাবে উপহাস করা হয়েছে তাতে আমি ব্যথিত। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বাক্ স্বাধীনতা নিশ্চয়ই আছে। কিন্তু তাঁদের অভিব্যক্তি অবশ্যই মর্যাদা ও সৌজন্যপূর্ণ হওয়া উচিত। সেটাই সংসদীয় পরম্পরা, দেশের মানুষও সেটাই প্রত্যাশা করে।'


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: South Bengal Weather: শীতের স্পেল জারি দক্ষিণবঙ্গে, সপ্তাহান্তে হাওয়া বদলের পূর্বাভাস