আলিপুরদুয়ার: গ্রেফতার (Arrested) উত্তর-পূর্ব ভারতের গন্ডার চোরাশিকারের সার্প শুটার তথা চক্রের কিংপিন লেকেন বসুমাতারি।  ২০২১ সালের ১ এপ্রিল জলদাপারা জাতীয় উদ্যানের জঙ্গলে গুলি করে গন্ডার হত্যা এবং খর্গ পাচারের দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জলদাপাড়াতে সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানালেন জলদাপাড়া (Jaldapara) তিরিক্ত বন‍্যপ্রাণ আধিকারিক নবজ‍্যোতি দে। 


বন দফতর সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ১ এপ্রিল জলদাপারা জাতীয় উদ্যান অন্তর্গত চিলাপাতা রেঞ্জের বানিয়া বীটের জঙ্গলে পূর্ন বয়ষ্ক গন্ডারকে গুলি করে হত্যা এবং খর্গ পাচারের অভিযোগে তদন্তে নেমেছিল বন দফতর। তাতে ধৃত লেকেনের এক সাকরেদ ধরা পড়লে তার হেফাজত থেকে উদ্ধার হয়েছিল গন্ডার হত্যায় ব্যবহৃত একটি থ্রি নট থ্রি রাইফেল ও বেশ কিছু তাজা কার্তুজ। তাতে লেকেন বসুমাতারির সরাসরি যোগসাজশের প্রমাণ পেয়েছিল বন দফতর। তারপর কেটে গেছে প্রায় দুই বছর। বিভিন্ন সূত্র ধরে এগিয়ে অবশেষে বুধবার সাফল্য আসে বনদপ্তর এবং জেলা পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টায়। সূত্রের খবর, বছর ৫৫ এর অসমের চিরাং জেলার বাসিন্দা  লেকেন বসুমাতারিকে গ্রেফতার করে বুধবারই তার বিরুদ্ধে বনদপ্তর ১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনে বন্যপ্রাণ হত্যা এবং দেহাংশ পাচারের অভিযোগে আলিপুরদুয়ার আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতকে আদালত ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।  


বন দফতর সূত্রে খবর, উত্তর-পূর্ব ভারতে বন্যপ্রাণ চোরা শিকারের কিংপিন এই লেকেন বসুমাতা। ডুয়ার্সের জলদাপারা, গরুমারা জাতীয় উদ্যান এবং অসমের কাজিরাঙা, মানস সহ উত্তর-পূর্ব ভারতে চোরা শিকারের মূল পাণ্ডা লেকেন। ২০১২ সাল থেকে জলদাপারায় যত চোরা শিকারির ঘটনা ঘটেছে  তার সবক্ষেত্রেই লেকেনের নাম উঠে এসেছে বলে দাবি বন  দফতরের। ফলে এই লেকেনকে জেড়া করেই এই চক্রের আরো সন্ধান পাওয়া যাবে বলে আশা বন দফতরের। 


আরও পড়ুন, ৩ মার্চ পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে কুন্তলকে, ধৃত যুব তৃণমূল নেতার ফের জেল হেফাজত


একুশ সালের মাঝামাঝি জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে গন্ডার শিকারকাণ্ডে  গ্রেফতার হয় অস্ত্র-সহ একজ। তাঁদের থেকে উদ্ধার করা হয় ২-টি রাইফেল, ২-টি সাইলেন্সার এবং ২৪ রাউন্ড তাজা কার্তুজ। গোপনসূত্রের খবরে জলদাপারা জাতীয় উদ্যান স্পেশাল ফোর্সের বনকর্মীরা আলিপুরদুয়ার থানার অন্তর্গত বনচুকামারি গ্রামে অভিযান চালায়। সেখানে, স্থানীয় গ্রামবাসী পরিমল বর্মনকে জেরা করে বনদফতরের স্পেশাল ফোর্স। তার বয়ানের ভিত্তিতে পরিমল বর্মনের বাড়ির পাশের জঙ্গল থেকে মাটির তলায় পুতে রাখা প্লাস্টিকে মোরা ২ টি রাইফেল এবং তাজা কার্তুজ উদ্ধার করে বনদপ্তরের ঐ স্পেশাল ফোর্স। গ্রেফতার করা হয় পরিমল বর্মনকে।