কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) কুন্তল ঘোষকে (Kuntal Ghosh) হেফাজতে চায় সিবিআই (CBI)। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) টাকা দেওয়া হয়েছে, দাবি করেছিল কুন্তল। 'কুন্তলের ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত হয়েছে, আরও জেরার প্রয়োজন', আলিপুর আদালতে (Alipur Court) কুন্তলের প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট ইস্যু করল সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতার করে ইডি (ED)। এখন জেল হেফাজতে রয়েছে কুন্তল ঘোষ। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি কুন্তলকে তোলা হবে আদালতে। 


সম্প্রতি কুন্তল ঘোষকে (Kuntal Ghosh) জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে গেলেন ইডি-র আধিকারিকরা। দীর্ঘ সময় ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। কার কার সাহায্যে চলত চক্র ? জানতে চায় ইডি (ED)। এত টাকা কোথায় গেল ? কারা কারা টাকা সরাতে সাহায্য করেছে ? জানতে চায় ইডি। কারা কারা সুবিধা পেয়েছে ? পার্থ-মানিক ছাড়া আর কোন  প্রভাবশালী আছেন যাঁর সাহায্যে এই চক্র চালাত কুন্তল ? জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা না করায় ফের জেলে এসে কুন্তলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।


প্রসঙ্গত,  কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতারের দিন, তাঁর ঘর থেকে এই দুই ডায়েরি বাজেয়াপ্ত করে ইডি। নিয়োগ-দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের জোড়া ডায়েরিতেই এবার নজর ইডি-র। প্রাথমিকভাবে ইডির অনুমান, এই দুই ডায়েরিতেই রয়েছে টাকা পয়সার সমস্ত হিসেব। সূত্রের খবর, সেই দুই ডায়েরিতে সাঙ্কেতিক ভাষায় বেশ কিছু ডিজিট লেখা রয়েছে। কুন্তলকে জেরা করে সেই সব সাঙ্কেতিক ভাষার অর্থ জানতে চাইছে ইডি। ইডির অনুমান, এই ডায়েরিতেই লুকিয়ে আছে, চাকরি বিক্রির বিনিময়ে কুন্তলের টাকা নেওয়ার অঙ্কটা।


পাশাপাশি সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যুর পর আরও সতর্ক হয়ে গেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সূত্রের খবর, কুন্তলকে জেরা করার সময় আগাগোড়া ভিডিওগ্রাফি করা হচ্ছে। যাতে, পরে কোনওরকম অত্যাচারের অভিযোগ না করতে পারেন কুন্তল। যখন জেরা করা হচ্ছে না, তখনও কুন্তলকে রাখা হচ্ছে সিসি ক্যামেরার নজরে। রাতে কুন্তলের উপর নজর রাখতে থাকছেন ইডি-র সিনিয়র আধিকারিক। সূত্রের খবর, কুন্তল শৌচালয়ে গেলেও তার উপর নজর রাখা হচ্ছে। 


আরও পড়ুন, দোল পূর্ণিমার সূচনা মায়াপুরে, চৈতন্যদেবের ৫৩৭ তম আবির্ভাব উপলক্ষে অনুষ্ঠান


নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের ফ্ল্য়াট থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া ডায়েরির পর, এবার ইডির হাতে কুন্তলের হোয়াটস অ্য়াপ চ্য়াটও নজরে এসেছে। ইডি সূত্রে খবর, ডায়েরির কয়েকটি হিসেবের সূত্র ধরে উঠে আসা তথ্য় যাচাই করতে গিয়ে, সামনে এসেছে টেক্সটগুলি। যেখানে বেশ কয়েকটি জেলার মিডলম্য়ানদের সঙ্গে নিয়োগ সংক্রান্ত কথাবার্তা হয়েছে মেসেজে। তবে, একাধিক টেক্সট-ই ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে। এমন কী কথাবার্তা হয়েছিল ওই টেক্সটে? জানতে সাইবার বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিয়েছে ইডি। খতিয়ে দেখা হয় মিডল ম্য়ানের ভূমিকাও। ইতিমধ্যেই তাপস মণ্ডলের মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। দুজনের মধ্য়ে ঠিক কী কী বিষয়ে কথা হত, তা খতিয়ে দেখেন আধিকারিকরা।