অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar News) হাসপাতালে ঢুকে মত্ত অবস্থায় তাণ্ডব, সিভিক ভলান্টিয়ারের উপর চড়াও, পুলিশ কর্মীকে হেনস্থা, একাধিক অভিযোগে গ্রেফতার হলেন তৃণমূলের ছাত্রনেতা (TMC Student Leader) ও তাঁর দাদা। যা নিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা।


আলিপুরদুয়ারে মত্ত অবস্থায় হাসপাতালে ঢুকে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ


রাতদুপুরে মত্ত অবস্থায় হাসপাতালে ঢুকে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল ছাত্রনেতা ও তাঁর দাদার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, সিভিক ভলান্টিয়ারের উপর চড়াও হন ছাত্রনেতার দাদা। ঘটনাস্থল থেকে একটি ভিডিও ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে সিভিক ভলান্টিয়ারের উপর চড়াও হওয়ার দৃশ্য ধরা পড়েছে, যদিও ওই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।


এই ঘটনায় পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হলে পুলিশ কর্মীকেও অভিযুক্তরা মারধর করেন বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার, গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে।


আরও পড়ুন: TET Agitation: পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বিজেপি-র, অধীরের নেতৃত্বে পথে অধীর, চাকরিপ্রার্থীদের তুলে দেওয়ায় পথে বিরোধীরা


হাসপাতাল সূত্রে খবর, পেটের সমস্যা নিয়ে মত্ত অবস্থায় হাসপাতালে আসেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের আলিপুরদুয়ার টাউন ব্লকের সাধারণ সম্পাদক শৌভিক ঝা এবং তাঁর দাদা শুভম। 


চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে অভব্য আচরণের অভিযোগ ওঠায় ঘটনাস্থলে আসেন সিভিক ভলান্টিয়ার এবংও পুলিশ। তখন তাঁদের ওপর চড়াও হন ওই ছাত্রনেতা ও তার দাদা।


সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল তাণ্ডবের ভিডিও, সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ


ভাইরাল ভিডিও নিয়ে শাসকদলকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সম্পাদক মিঠু দাস বলেন, "পুলিশই মার খাচ্ছে তৃণমূল ছাত্র নেতাদের কাছে। আইনের শাসন এবং পুলিশের মেরুদন্ড ভেঙে গেছে।" তৃণমূল ছাত্রনেতা শৌভিক ঝা এবং তার দাদা শুভমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


মুম্বই থেকে শিশুপাচার চক্রের মাথাকে গ্রেফতার করল স্বরূপনগর থানার পুলিশ


এ দিকে,  আন্তর্জাতিক শিশু পাচার (child smuggling racket) চক্রের এক পান্ডাকে (kingpin) মুম্বই (mumbai) থেকে গ্রেফতার (arrest) করল স্বরূপনগর থানার (swarupnagar police station) পুলিশ। উদ্ধার দুই বাংলাদেশি শিশু।


মাসখানেক আগে পুলিশের কাছে খবর এসেছিল, সীমান্ত লাগোয়া স্বরূননগর থানার কৈজুড়ি পঞ্চায়েতের ভাদুড়িয়া গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িতে পাঁচ ও সাত বছর বয়সী দুই শিশুকে আনা হয়েছে। সম্ভবত  বাংলাদেশ থেকে এনে রাখা হয়েছিল তাদের, এমনই খবর পাওয়া যায়।


সূত্রের খবর, সুযোগ বুঝে পরে তাদের বিক্রি করে দেওয়ারও উদ্দেশ্য ছিল। খবর পেতেই পুলিশ ওই ব্যক্তির বাড়িতে হানা দেয়। অভিযানের খবর পেয়েই দুই শিশুকে রেখে পালায় লাল্টু সর্দার নামে ওই শিশু পাচারকারী। এর পরই লাল্টুর খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ।