অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: ট্রেন চালকের তৎপরতায় প্রাণে রক্ষা। রেল লাইনে উপরে উঠে এসেছিল দাঁতাল হাতি। কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসের চালকের তৎপরতায় বাঁচল তার প্রাণ। গত সোমবার ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল তিনটি হাতির।                     

  


চালকের তৎপরতায় বাঁচল প্রাণ: আলিপুরদুয়ার জেলার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাতখাওয়া-কালচিনি স্টেশনের মাঝে গতকাল এই ঘটনাটি ঘটে। বুধবার বিকেলে দিকে রেললাইনের পাশে থাকা হাতিটি নজরে পড়ে চালক এবং গার্ডের। তৎক্ষণাত ব্রেক কষে ট্রেন দাঁড় করিয়ে দেয় চালক। ট্রেন দাঁড়িয়ে যেতেই লাইনে পেরিয়ে চলে যায় জঙ্গলে। প্রায় প্রতিদিনই ডুয়ার্সের জঙ্গলপথে রেল চালকদের এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চালকদের তৎপরতায় বহু হাতির সাথে সংঘর্ষ এড়ানোর নজিরও রয়েছে। তবুও ঘটে যায় দুর্ঘটনা।                                


চলতি সপ্তাহেই আলিপুরদুয়ারে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। রাজাভাতখাওয়ার শিকারি গেটের কাছে একটি পূর্ণবয়স্ক হাতিকে পিষে দিয়েছে মালগাড়ি। মালগাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় আরও একটি পূর্ণবয়স্ক হাতি এবং তার শাবকের। রেল সূত্রে খবর পাওয়া যায় সোমবার সকাল ৭টা ৪০ নাগাদজঙ্গলের একদিক থেকে বেরিয়ে আড়াআড়িভাবে রেললাইন পেরোচ্ছিল একটি হাতির দল। তখনই রেলের পার্সেল ভ্যান-সহ ইঞ্জিনটি পিষে দেয় একটি হস্তি শাবককে।মালগাড়ির ধাক্কায় রেললাইনের দু’পাশে ছিটকে পড়ে দুটি পূর্ণবয়স্ক হাতি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিনটি হাতির। এই ঘটনায় উঠেছিল একের পর এক প্রশ্ন। এলিফ্যান্ট করিডর দিয়ে কি নিয়ন্ত্রিত গতিতে চালানো হচ্ছিল না মালগাড়িটি? মালগাড়ির সামনে হাতির দলকে দেখে কেন এমার্জেন্সি ব্রেক কষা হয়নি? ঠিক কত গতিতে ছুটছিল মালগাড়িটি? বনদফতর সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে মালগাড়ির চালক ও তাঁর সহকারী চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দুর্ঘটনার সময় মালগাড়ির গতি কত ছিল খতিয়ে দেখতে ইঞ্জিনটি পরীক্ষাও করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। আর এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর সামনে এল তৎপরতার নজির। চালকের তৎপরতাতেই প্রাণ বাঁচল হাতির। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: SSC Scam: ডোমকলের তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে মিলল লক্ষ লক্ষ টাকা