আলিপুরদুয়ার: সাংসদের পর এবার বিজেপি (BJP) বিধায়ক, বাড়ির সামনে তৃণমূলের বিক্ষোভ। তৃণমূলের (TMC) নেতৃত্বে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বিজেপি বিধায়কের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয় রবিবার। আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের বাড়ির সামনে অবস্থানে বসেন চা শ্রমিকদা। তাঁদের পিএফ-সহ ৪ দফা দাবিতে বিধায়কের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান। দুর্নীতি থেকে নজর ঘোরাতেই তৃণমূলের বিক্ষোভ বলে এই ঘটনায় কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
শুক্রবারই, চা শ্রমিকদের একাধিক দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু প্রতিমন্ত্রী ও আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লার বাড়ির সামনে বিক্ষোভে বসেছিল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন INTTUC। আর রবিবার, একই দাবিতে, আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের বাড়ির অদূরে, অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করল তৃণমূল নেতৃত্ব।
বকেয়া ডিএ ও দুর্নীতিহীন নিয়োগের দাবিতে, রবিবার তৃতীয় দিনে পড়েছে সরকারি কর্মী এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের ২৮টি সংগঠনের যৌথ আন্দোলন। এনিয়ে আন্দোলন যখন তীব্রতর করার পথে হাঁটছে তাঁরা, তখনই, পাল্টা পিএফ ইস্য়ুতে বিজেপিকে চেপে ধরার কৌশল নিয়েছে তৃণমূল।
আলিপুরদুয়ার শহরে, বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের বাড়ি থেকে ৫০ মিটার দূরে, অস্থায়ী প্য়ান্ডেল করে, বিক্ষোভ-আন্দোলন শুরু করেছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তাঁদের দাবি-দাওয়া মূলত চারটি।
- গত কেন্দ্রীয় বাজেটে চা শ্রমিকদের জন্য বরাদ্দ হওয়া ১ হাজার কোটি টাকার খরচের হিসেব দিতে হবে।
- অবসরপ্রাপ্ত চা শ্রমিকদের অবিলম্বে পিএফ মেটানো।
- ৫৮ থেকে বাড়িয়ে চা শ্রমিকদের অবসরের বয়স ৬০ করা।
- চা শ্রমিকদের সন্তানদের জন্য স্কলারশিপ পুনরায় চালু করতে হবে।
তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সৌগত রায়ের কথায়, অভিষেক বন্দ্য়োপাধা্য়ায় ঘোষণা করেছিলেন ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পিএফের টাকা জমা না পড়লে, বৃহত্তর আন্দোলন হবে। হাজারহাজার কোটি পাওনা। কেন্দ্র টাকা না দিলে কেন্দ্রের প্রতিনিধিদের বাড়ির সামনে ধর্না।
আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের কথায়, সাধারণ মানুষের মন ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য় করছে। তারা চা বাগানের ইসু তুলে ধরছে। অধিকাংশ মানুষ প্রভিডেন্ট ফান্ড পায় না, তার জন্য় দায়ী মালিক কর্তৃপক্ষ। শাসক মালিকপক্ষের বাড়ির সামনে বসে আন্দোলন করলে শ্রমিকদের উপকার হোতো। চটকদা রি, চমকপ্রদ, গিমিকের পলিটিকস
উত্তরবঙ্গের কর্মসংস্থানের অন্য়তম প্রধান মাধ্য়ম চা বাগান! পঞ্চায়েত ভোটের আগে, সেই চা শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে তুঙ্গে রাজনীতির লড়াই কিন্তু গরিব মানুষগুলোর দুর্দশা কবে ঘুঁচবে? এখন প্রশ্ন এটাই।