কলকাতা: SSC-র নাইসার মতোই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চাকরিপ্রার্থীদের OMR শিট মূল্যায়নের দায়িত্বে ছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি। এর আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গিয়েছিল এই সংস্থার নাম। এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না বাগচী চক্রবর্তীকে এই সংস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি।
সূত্রের খবর, মানিক ভট্টাচার্যর ঘাড়েই দায় চাপিয়েছেন প্রাক্তন পর্ষদ সচিব। ইডি সূত্রে খবর, রত্না বলেন, মানিকবাবুই সব জানতেন। পুরো ডিলটাই ছিল রহস্যে মোড়া। এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি কে বা কারা চালায়, তা একমাত্র মানিকবাবু জানেন। তিনিই নির্দেশ দিতেন, তিনিই দেখা করতেন। আমরা জানতাম কনফিডেন্সিয়াল প্রসেসর বলে কাউকে মেল করা হচ্ছে এবং মেল আসছে। এর বাইরে এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি নামে ওই সংস্থার ব্যাপারে আমরা কিছু জানতাম না। এর আগে গত ৫ এপ্রিল, মানিক ভট্টাচার্যকে এজলাসে ডেকে পাঠিয়ে এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি সম্পর্কে জানতে চান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেইসময় মানিক জানান, সংস্থার নাম শুনলেও, তিনি নিশ্চিত নন।
সালওয়ার কামিজের প্যাকেটে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের OMR শিট: নিয়োগ দুর্নীতিতে OMR শিট নিয়ে বিতর্কের মাঝেই এবার বেহালার ১৪ নম্বর বাস স্ট্যান্ডের কাছে ফুটপাতের দোকানে সালওয়ার কামিজের প্যাকেটে মিলল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের OMR শিট। এই OMR শিটগুলি কোনওটা ২০১৬, আবার কোনওটা ২০১৮ সালের। তাতে লেখা রয়েছে পরীক্ষার্থীর নাম, রেজিস্ট্রেশন ও রোল নম্বর। গতকাল ওই দোকানে কেনাকাটা চলছিল। আচমকাই এক পথচারীর নজরে পড়ে জামার ভাঁজে ঢোকানো রয়েছে OMR শিট। বিষয়টি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। তড়িঘড়ি বেহালা থানার পুলিশ গিয়ে OMR শিটগুলি উদ্ধার করে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে দাবি, এগুলি বি,কম পরীক্ষার OMR শিট। তিন বছর পরপর এগুলি নিয়ম মেনে নষ্ট করা হয়। তারপরও OMR শিটগুলি কী করে দোকানে এল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকেই উঠিয়ে দেওয়ার তাল করেছে তৃণমূল, কটাক্ষ সজল ঘোষের। দুর্নীতিতে ডুবে থাকা বিজেপির মুখে এ কথা মানায় না, পাল্টা আক্রমণ শান্তনু সেনের।
অন্যদিকে ১২ কোটি নয়... নিয়োগ পাইয়ে দিয়ে একা অয়ন শীলই বিভিন্ন পুরসভা থেকে তুলেছিলেন ৪০ কোটি টাকা! অয়ন শীলকে জেরা করে এমনই বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে ED-র হাতে। সূত্রের দাবি, টাকা তোলার কথা স্বীকার করলেও, জেরায় অয়ন দাবি করেছেন, এই টাকার থেকে তিনি ২০ থেকে ২৫% কমিশন পেয়েছেন। বাকি টাকা গেছে নির্দিষ্ট পুরসভার প্রভাবশালীদের কাছে।