ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: দেশের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের (Medical College) ক্যান্টিন চর্বি বর্জিত ও স্বাস্থ্য সম্মত খাবার রাখার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Health Ministry)। 


দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ভেতর ও বাইরের পরিবেশ করে তুলতে হবে তামাক ও অ্যালকোহল বর্জিত। সেই সঙ্গে গ্রহণ করতে হবে স্বাস্থ্যকর জীবনধারা। দেশের সমস্ত মেডিক্য়াল কলেজ কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র। 


মেডিক্যাল কলেজগুলির ক্যান্টিনে চর্বি বর্জিত ও স্বাস্থ্য সম্মত খাবার রাখার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কলেজের ক্যান্টিনে থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে অস্বাস্থ্যকর খাবার- যেগুলির মদ্যে চিনি, নুন ও ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। রাখা যাবে না অতিরিক্ত মাত্রায় চিনি, নুন ও প্রিজারভেটিভ দেওয়া প্যাকটজাত খাবার। তার বদলে রাখতে হবে তাজা ফল, সবজি, ফলের রস, বাদাম ও দানা শস্যযুক্ত খাবার। 


পাশাপাশি, মেডিক্যাল কলেজগুলির ক্যান্টিনে ফাস্ট ফুড ও সফট ড্রিঙ্কস না রাখতে বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে ২৭ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয় হৃদরোগে। ফুসফুসের রোগে ১১ শতাংশ মানুষ মারা যান। ৯ শতাংশ মানুষ ক্যান্সার ও ৩ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয় ডায়াবেটিসের কারণে।  
 
এই প্রেক্ষিতে সুস্বাস্থ্যের জন্য চিকিৎসক সমাজের কাছে অগ্রণী ভূমিকা নেওয়ার আবেদন করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।               


আরও পড়ুন, শীতের আমেজ ফিরল বাংলায়, মাসের শেষে বাড়বে আরও দাপট?


অন্যদিকে, প্রতিবেশী দেশ ও ভিন রাজ্যের রোগীদের এবার টাকার বিনিময়ে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হোক। মেডিক্যাল কলেজগুলোর পরিকাঠামো খতিয়ে দেখে স্বাস্থ্য দফতরকে পরামর্শ দিল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। 


পরিসংখ্যান বলছে, সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা করাতে ভিড় করেন বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ-সহ বহু ভিনরাজ্যের রোগী। এমনকী ভিন দেশ থেকেও অনেকে পশ্চিমবঙ্গে আসেন চিকিৎসার জন্য। যার জেরে এরাজ্যের রোগীদের পরিষেবা দিতে যে কিছুটা হলেও সমস্যা হচ্ছে, তা স্বীকার করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীও। ২০১৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে এ বিষয়ে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


এবার মেডিক্যাল কলেজগুলোর পরিকাঠামো খতিয়ে দেখে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন স্বাস্থ্য দফতরকে পরামর্শ দিয়েছে, প্রতিবেশী দেশ ও ভিন রাজ্যের রোগীদের টাকার বিনিময়ে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হোক।  


বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের খাবার খরচ ৫০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে। মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে তা উল্লেখ করে অন্তত ২০০ টাকা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।