হিন্দোল দে, কলকাতা : তৃণমূল কাউন্সিলর পুজোর নামে তোলাবাজি করছেন। খাস কলকাতার বুকে এই পোস্টার ঘিরে সপ্তমে চড়ল বিতর্ক। হোর্ডিং সরিয়ে দেওয়ায় পোস্টার দেওয়া হয়েছে। অন্য পুজো কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। যদিও সেই অভিযোগ মানতে নারাজ পার্শ্ববর্তী পুজো কমিটির সদস্যরা।


তোলাবাজির অভিযোগে পোস্টার
'দুর্গাপুজোয় তোলাবাজি মানছি না, মানব না' -  ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে :ছেয়ে গিয়েছে পোস্টার। দুর্গাপুজো থেকে কালীপুজো, সরগরম থাকে উত্তর কলকাতার এই এলাকা। কলকাতার নামি-দামি পুজো হয় এখানে। আর এখানকার কাউন্সিলরের নাম করেই পড়ল পোস্টার। শ্রদ্ধানন্দ পার্কে পুজো হচ্ছে যে কাউন্সিলরের উদ্যোগে, তারঁ বিরুদ্ধেই তোলাবাজির অভিযোগে পোস্টার পড়েছে এলাকায়। 


হোর্ডিং লাগানো নিয়ে তরজা 
রাজা রামমোহন রায় সরণির দুই ধারে দুই ওয়ার্ড। এক পাশে শ্রদ্ধানন্দ পার্কে যে পুজো হয়, সেই ৯-এর পল্লির পুজো কমিটির সভাপতি হলেন তৃণমূল কাউন্সিলর মোনালিসা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডে হয়, চুনাপুকুর সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতির পুজো। সম্প্রতি হোর্ডিং লাগানো নিয়ে, দুই পুজো কমিটির মধ্যে বিবাদ বেধেছিল। তৃণমূল কাউন্সিলর মোনালিসা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, চুনাপুকুরের পুজো কমিটির সদস্যরা তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার লাগিয়েছেন।

'আক্রোশ' - এর অভিযোগ 
এই অভিযোগের বিষয়ে কাউন্সিলরের  সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শ্রদ্ধানন্দ পার্কে অনেক অসামাজিক কাজকর্ম চলত, সেগুলি তিনি বন্ধ করে দিয়েছেন। তাতেই নাকি একদলের আক্রোশ জন্মেছে।  মোনালিসা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ,  উল্টোদিকে ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডে একটি পুজো হয়, সেখানের পুজো কমিটির  সঙ্গে হোর্ডিং নিয়ে বিতর্ক হয়। সেই আক্রোশেই এই অভিযোগ তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ মোনালিসার। 


অন্যদিকে পোস্টার লাগানোর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে, তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন চুনাপুকুরের পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক। কৌশিক ভট্টাচার্য জানান, ' আমরা ১৫ বছর ধরে বউবাজারের ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মোড়ে হোর্ডিং লাগাই। ঠিকই , ওটা ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে। ওরা খুলতে বলে, সেটা সম্ভব নয়। তারপর তিন দিন আগে রাতে কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে খুলে দিয়ে যান। মোনালিসা হোর্ডিং লাগানোয় টাকায় রফা করতে চান। ' 


পুজোর মুখে তোলাবাজির অভিযোগে সরগরম শিয়ালদা চত্বর।