বিটন চক্রবর্তী, তমলুক: চা খেতে গিয়ে বচসা, দোকানদারকে ছুরি মেরে খুন করার অভিযোগ। অভিযুক্ত যুবককে মারধর স্থানীয়দের। তুলে দেওয়া হল পুলিশের হাতে। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের খারুই এলাকার ঘটনা। চায়ের দোকানের মালিককে বুকে ছুরি মেরে খুনের অভিযোগ। 'দোকান বন্ধের সময় চা খেতে আসে যুবক, রাজি না হওয়ায় হামলা', অভিযোগ মৃতের স্ত্রীর। অভিযোগ অস্বীকার অভিযুক্তের। 


দোকানদারকে ছুরি মেরে খুন করার অভিযোগ: চা দোকানদারকে বুকে ছুরি মেরে খুন করার অভিযোগ এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। সূত্রের খবক, শ্রীমন্ত পাল নামে ওই ব্যক্তি একটি দোকানে চা খেতে যান। কুশদ্ধজ সামন্ত (৫০) নামে ওই দোকানদার প্রথমে দোকান বন্ধ করে দিয়েছেন বললে যুবকের সাথে বচসা বাঁধে। খানিক পরে চা বানিয়ে দিতে গেলে শ্রীমন্ত দোকানদারের বুকে ছুরি মারে।এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুশদ্ধজ সামন্তকে কোলাঘাট ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণী করে। স্থানীয়রা অভিযুক্তকে ধরে ফেলে মারধর করে। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। প্রত্যক্ষদর্শী ও মৃতের স্ত্রী জানান -"দোকান বন্ধের সময় ওই ব্যক্তি চা খেতে দোকানে আসে। কিন্তু চা দিতে রাজি হয়নি দোকানদার। ওই ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় দোকানে এসেছিল। কোনওরকম শত্রুতা ছিল না।'' যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে শ্রীমন্ত পালের দাবি, "আমার কাছে ৩০ টাকা পেতো কিন্তু আমি ওকে ৬০ টাকা দিয়েছিলাম। তারপরে ওই দোকানদার আমাকে মারধর করে। তবে আমি ওকে খুন করিনি।''


এদিকে ২ দিনের মাথায়, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (North Bengal Medical College) থেকে শিশু চুরির ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। গতকাল রাতে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার বলরামপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সদ্যোজাতকে। গ্রেফতার অভিযুক্ত মা-মেয়ে ও আটক ২জন। পুলিশের অনুমান, নিঃসন্তান মেয়ের জন্যই শিশু চুরি করেছিলেন অভিযুক্ত মহিলা।


শিশু চুরির ঘটনার কিনারা: শেষমেশ মায়ের কোলে ফিরল শিশু। হাসি ফুটল মায়ের।স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন সবাই।২ দিনের মাথায়, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। গ্রেফতার করা হল অভিযুক্ত ২ মা-মেয়েকে। আটক দুই। পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে পাশাপাশি, আশা কর্মীদের কাছে থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন এক মহিলার স্কেচ আঁকানো হয়। তারপর শুরু হয় তল্লাশি। শনিবার রাতে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় হানা দেয় শিলিগুড়ি কমিশনারেটের বিশেষ দল। সেখান থেকে শিশুকে উদ্ধার করে ফের ভর্তি করা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। পরে তুলে দেওয়া হয় মায়ের হাতে।


আরও পড়ুন: Tapas Saha Update: 'দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের থেকে কোনও সহযোগিতা পাইনি,' অভিমানী তাপস