সুনীত হালদার, জগৎবল্লভপুর: হাওড়ার (Howrah) জগত্বল্লভপুরে পরিবহণ দফতরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর বাড়িতে ডাকাতির (Dacoity) অভিযোগ। বাড়িতে হানা দেয় ৬ সশস্ত্র দুষ্কৃতী। বাড়ির মালিক, তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে মারধর করে সোনার গয়না, টাকা লুঠ করে দুষ্কৃতীরা পালায় বলে অভিযোগ। ভিন রাজ্যের দুষ্কৃতীদের গ্যাং এর পিছনে থাকতে পারে বলে সন্দেহ।
অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর বাড়িতে ডাকাতি: মাঝরাতে বেপরোয়া ডাকাতি। রাত ৩টেয় গৃহস্থের বাড়িতে হানা। পরিবারের সদস্যদের বেধড়ক মারধর করে লুঠপাটের অভিযোগ। শুক্রবার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটেছে হাওড়ার জগত্বল্লভপুরে ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিতলা এলাকায়। বাড়িতে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে থাকেন পরিবহণ দফতরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী প্রভাসকুমার ঘোষ। তিনি সপরিবারে দোতলায় থাকেন। নীচের তলা ভাড়া দেন বিয়েবাড়ি বা অনুষ্ঠানের জন্য। তাঁর অভিযোগ, শুক্রবার গভীর রাতে তাঁর বাড়িতে হানা দেয় ৬ জন দুষ্কৃতী। কোলাপসিবল গেট ভেঙে তারা বাড়িতে ঢুকে পড়ে।
গৃহকর্তার দাবি, একজন বাইরে পাহারায় ছিল, বাকিরা সশস্ত্র অবস্থায় ঘরে ঢুকে হামলা চালায়। অভিযোগ, গৃহকর্তা ও তাঁর স্ত্রীকে আচমকা মারধর শুরু করে। চিত্কার শুনে পাশের ঘর থেকে মেয়ে বেরিয়ে এলে তাঁর মাথায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগকারীর দাবি, এরপর ৩ জনকে বেঁধে রেখে, আলমারি ভেঙে লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না ও নগদ লুঠপাট করে দুষ্কৃতীরা। যাওয়ার সময় তারা সিসি ক্যামেরার হার্ড ডিস্ক নিয়ে যায়। শুধু তাই নয়, গৃহকর্তার দাবি, বেরনোর সময় দুষ্কৃতীরা শাসিয়ে যায়, ১০ মিনিট যেন কেউ ঘর থেকে না বের হয়। আক্রান্ত গৃহকর্তী প্রভাসকুমার ঘোষ বলেন, “মেয়ের বিয়ের জন্য গয়না রেখেছিলাম। সব লুঠপাট করে নিয়ে গেছে। মারধর করে সব নিয়ে চলে গেল। বললাম, মারছ কেন? কোনও কথা শুনল না ’’ গৃহকর্তার মেয়ে শিল্পী ঘোষ জানান, “বাবা-মার চিত্কার শুনে ঘর থেকে বেরোতেই আমাকে তিনজন ধরে ফেলে। মাথায় মারল। তিনজনকে বেঁধে রেখে ২টো ঘরের আলমারি থেকে লুঠ করে নিল।’’
গৃহকর্তার দাবি, তাঁর ভাইপোকে তিনি খবর দেন। ভাইপো জগত্বল্লভপুর থানায় ফোন করলে রিং হয়ে যায়। তারপর লালবাজারে খবর দিলে চারটের পর থানা থেকে পুলিশ আসে। এ বিষয়ে হাওড়া জেলা পুলিশ গ্রামীণের সুপার জানিয়েছেন, ঝড়বৃষ্টির জন্য শুক্রবার রাতে থানার ফোন অকেজো হয়ে পড়েছিল। শনিবার সকালে তা ঠিক করা হয়। লালবাজার থেকে থানা খবর পায়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এর পিছনে ভিন রাজ্যের কোনও গ্যাং আছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আশপাশের কোনও সিসি ক্যামেরায় দুষ্কৃতীদের ছবি ধরা পড়েছে কি না, সে বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal Case : অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন খারিজ, ২৪ অগস্ট পর্যন্ত সিবিআই হেফাজত