ময়ুখঠাকুর চক্রবর্তী ও আশাবুল হোসেন, কলকাতা: ট্রাফিক আইন ভাঙার অভিযোগ উঠল বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে। লালবাজারে ফাইন দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার ১১ হাজার টাকা ফাইন দিলেন শুভেন্দু। ডিএ দিতে পারছেন না, ফাইন নিচ্ছেন, এদিন ফাইন দেওয়ার পর এই সুরেই রাজ্য সরকারকে খোঁচা দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। পাশাপাশি অভিযোগের ভিত্তি কী জানতে, পুলিশের কাছে সিসিটিভি ফুটেজও চাইলেন বিরোধী দলনেতা। 


তাঁর বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইনে মামলা করা নিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তাঁর ট্রাফিক আইন ভাঙা নিয়ে ফুটেজ চেয়ে পুলিশ কমিশনারকে চিঠিও দেন বিরোধী দলনেতা। আইন ভাঙলে পুলিশ তো মামলা করবেই, প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের। 


কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল থেকে শুরু করে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি। কাটমানি সহ একাধিক ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে প্রতিদিনই তীব্র আক্রমণ করে চলেছেন  শুভেন্দু অধিকারী। এবার সংঘাতের তালিকায় নতুন সংযোজন ট্রাফিক আইনে মামলা!


বিরোধী দলনেতার দাবি,তাঁর বিরুদ্ধে ট্রাফিক সংক্রান্ত ১১টি মামলা দেওয়া হয়েছে। যাঁর জন্য জরিমানা বাবদ ১১ হাজার টাকা তিনি জমা দিয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে লালবাজারে পৌঁছন শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতার পুলিশ কমিশনারের অফিসে গিয়ে প্রত্যেকটি মামলার ক্ষেত্রে তাঁর আইনভাঙার সিসিটিভি ফুটেজের দাবি জানিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন।


বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জরিমানা প্রসঙ্গে এদিন বলেন, যদি বেআইনি পার্কিং করে থাকি, আমি যদি আপনার ট্রাফিক সিগনাল ভায়োলেট করে থাকি, আমার যদি ওভার স্পিড থাকে, তাহলে আপনি আমাকে, বাধ্য উনি দিতে আমাকে। সিসিটিভির ফুটেজ আমাকে উনি প্রোভাইড করুন। ২ কোটি ২৮ লক্ষ লোকের প্রতিনিধি বিরোধী দলনেতার সঙ্গে কী নোংরা আচরণ এখানকার পুলিশকে দিয়ে মমতা ব্যনার্জি ও তাঁর ভাইপো করছেন। ১১ হাজার টাকা আমি কালকে জমা করে দিয়েছি। বিনীত গোয়েলকে আমি অনেক দূর নিয়ে যাব।


বরানগরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তাপস রায় বলছেন সবকিছুর মধ্যে উনি মুখ্যমন্ত্রী আর অভিষেককে দেখতে পান। আইন ভাঙলে পুলিশ তো কেস দেবেই। আমাদের কাছেও তো কেস আসে। হেনস্থা করা হয়েছে মনে করলে আদালতে যাক।লালবাজার সূত্রে খবর,পুলিশ কমিশনারের PA-কে দিয়ে আসা শুভেন্দু অধিকারীর চিঠি ইতিমধ্যে বিনীত গোয়েলকে দেওয়া হয়েছে। তিনি তা ডিসি ট্রাফিকের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন।