সন্দীপ সরকার, কলকাতা: স্বাস্থ্য দফতরের (Health Department) তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৬ হাজারের দিকে এগোচ্ছে। অথচ কেন্দ্রীয় পোর্টালে সেই সংখ্যাটা মাত্র ২৩৯! গত মে মাসে যে পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয়েছিল, অগাস্টের (August) শেষেও তা একই রয়েছে! আর তা নিয়েই উঠেছে ডেঙ্গির তথ্য গোপনের অভিযোগ। শুরু হয়েছে তরজা।
পুজোর মুখে আশঙ্কা বাড়িয়েই চলেছে ডেঙ্গি। হাওড়া জেলায় ৩ সপ্তাহে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে ৩ জনের মৃত্যু। অগাস্টের প্রথম সপ্তাহে কালীঘাটের (Kalighat) মহিম হালদার স্ট্রিটের বাসিন্দা এক বালকের মৃত্যু হয় ডেঙ্গিতে। রবিবার ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে হরিদেবপুরের (Haridevpur) এক বাসিন্দার।
মশাবাহিত রোগে মৃত্যুর তালিকা যখন দীর্ঘ হচ্ছে। ঠিক তখনই ফের ডেঙ্গি সংক্রান্ত তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। দেশের সাম্প্রতিক ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। আর তাতেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ন্যাশনাল সেন্টার ফর ভেক্টর বোর্ন ডিজিজেস কন্ট্রোলের সরকারি ওয়েবসাইটে গত মে মাস পর্যন্ত প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, বাংলায় মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ২৩৯ জন।
আরও পড়ুন, ইন্ডেন গ্যাসের সার্ভার সমস্যা, গোটা দেশে ব্যাহত পরিষেবা
আবার ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত প্রকাশিত রিপোর্টেও দেখা যাচ্ছে, বাংলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সেই একই। যে রাজ্য সরকারের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতেই এই রিপোর্ট প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আওতাধীন ন্যাশনাল সেন্টার ফর ভেক্টর বোর্ন ডিজিজেস কন্ট্রোল। অথচ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৪২৪ জন। তাহলে কি রাজ্য কেন্দ্রকে ডেঙ্গি নিয়ে সঠিক তথ্য দেয়নি? নাকি কেন্দ্রীয় পোর্টালে তথ্য আপডেট করা হয়নি?
অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টর্স সাধারণ সম্পাদক মানস গুমটা বলেন, "রাজ্য সরকার তো তথ্য গোপন করছে। তথ্য গোপন করে রাজ্যের পরিস্থিতি ভাল দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।" চিকিৎসক ও তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, "ঠিক সময়ে সঠিক তথ্যই রাজ্য সরকার দেয়। রাজ্য সরকার তথ্য গোপন করে না। কেন্দ্রীয় সরকারই বরং কোভিডের সময় তথ্য গোপন করেছে।"
তথ্য গোপনের অভিযোগ ঘিরে তরজা চলছেই। ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে আসবে কীভাবে, চিন্তা সেটাই।