অর্ণব মুখোপাধ্য়ায়, কলকাতা: কলকাতা পুরসভায় (KMC) টেন্ডার দুর্নীতির চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল। পুরসভার স্কুলগুলির জন্য বর্ষাতি ও ইউনিফর্ম কেনার ক্ষেত্রে দুর্নীতি। বিধি মেনে টেন্ডার না ডেকে একই নির্দিষ্ট সংস্থার কাছ থেকে বর্ষাতি ও ইউনিফর্ম কেনার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, ৩৩৫ টাকা প্রতি পিস হিসেবে ২২ হাজার ৪০টি বর্ষাতি প্রায় ৭৩ লক্ষ টাকা খরচ করে কেনা হয় এবং, ২০০ টাকা সেট হিসেবে ২৯ হাজার ৩৮৬টি ইউনিফর্ম প্রায় ৫৮ লক্ষ টাকা খরচ করে কেনা হয়। এ নিয়ে অভিযোগ তোলেন রেসিডেন্ট অডিট অফিসার। দায়িত্ব নেওয়ার আগের ঘটনা, উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছি, মন্তব্য় মেয়র পারিষদ শিক্ষা সন্দীপন সাহার।


টেন্ডার না ডেকে কেন পড়ুয়াদের পোশাক ও বর্ষাতি কেনা হয়েছে? স্কুল পড়ুয়াদের পোশাক ও বর্ষাতি কেনার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠল কলকাতা পুরসভায় (Kolkata Municipality Corporation)। বিধি অনুযায়ী টেন্ডার না ডেকে কেন পড়ুয়াদের পোশাক ও বর্ষাতি কেনা হয়েছে? সেই প্রশ্ন তুললেন পুরসভার রেসিডেন্ট অডিট অফিসার। এনিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্য়েই এবার স্কুল পড়ুয়াদের পোশাক ও বর্ষাতি কেনার ক্ষেত্রেও উঠল অনিয়মের অভিযোগ! কলকাতা পুরসভার বিধি অনুযায়ী, টেন্ডার না ডেকে কেন পড়ুয়াদের পোশাক ও বর্ষাতি কেনা হয়েছে? সেই প্রশ্ন তুললেন পুরসভার রেসিডেন্ট অডিট অফিসার। পুরসভার দেওয়া নথি যাচাই করে তিনি জানিয়েছেন,২০১৯ সালে ৩৩৫ টাকা করে ২২ হাজার ৪০টি বর্ষাতি প্রায় ৭৩ লক্ষ টাকা খরচ করে কেনা হয় এবং ২০০ টাকা সেট হিসেবে ২৯ হাজার ৩৮৬টি ইউনিফর্ম প্রায় ৫৮ লক্ষ টাকায় কেনা হয়।


দায় এড়িয়েছেন মেয়র পারিষদ শিক্ষা: দুই ক্ষেত্রে একই সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছিল। পোশাকের ক্ষেত্রে ওই নির্দিষ্ট সংস্থার পাশপাশি আরও দুটি সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়। পুরসভার নিয়ম অনুযায়ী, ৫ লক্ষ টাকার ওপরেই টেন্ডার করতে হয়। কিন্তু, প্রথমে সেই সংস্থার টেন্ডার বাতিল হলেও পরে তাদেরই বরাত দেওয়া হয়েছিব। রেসিডেন্ট অডিট অফিসারের প্রশ্ন, এ ক্ষেত্রে ই টেন্ডারের নিয়ম মানা হয়নি কেন? আর এই ঘটনা সামনে আসতেই তৃণমূলকে নিশানা করেছে বিজেপি। এই ঘটনা তাঁর দায়িত্ব নেওয়ার আগেকার বলে দায় এড়িয়েছেন মেয়র পারিষদ শিক্ষা।  এর আগে ২০১২ সালে কলকাতা পুরসভায় ত্রিফলা বাতিস্তম্ভের ক্ষেত্রেও টেন্ডার না ডেকে বরাত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। যা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বঙ্গ রাজনীতি।