কলকাতা: ২ বাম নেত্রী সুশ্রীতা সোরেন ও সুচরিতা দাসের উপর পুলিশি অত্যাচারের মামলায়, সিঙ্গল বেঞ্চের রায়-ই বহাল রাখল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ২টি মামলাতেই, IPS অফিসার মুরলী ধরের নেতৃত্বে SIT গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। পাশাপাশি, অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপেরও নির্দেশ দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ।
DSO নেত্রী সুশ্রীতা সোরেন ও SFI নেত্রী সুচরিতা দাসের উপর পুলিশি অত্যাচারের ২টি মামলায়, সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আইপিএস অফিসার মুরলী ধরের নেতৃত্বে, টিম গঠন করে যে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চ। সেই নির্দেশ বহাল রাখল বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও শব্বর রশিদির বেঞ্চ। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী ও DSO নেত্রী সুশ্রীতা সোরেন বলেন, "থানার মধ্য়ে নিয়ে গিয়ে কীভাবে সেখানে নৃশংস অত্য়াচার করেছে, এই অভিযোগটা যে আমরা করেছিলাম, এটা যে সত্য়, এটা যে মিথ্য়া নয়, সেটা কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চেও প্রমাণিত হল।'' যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়িতে ছাত্র জখম হওয়ার প্রতিবাদে, গত ৩ মার্চ ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল SFI ও SUCI-এর ছাত্র সংগঠন DSO. ওইদিনই মহিলা আন্দোলনকারীদের মেদিনীপুর মহিলা থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে অকথ্য অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। থানায় নিয়ে গিয়ে হাতে জ্বলন্ত মোম ঢেলে দেওয়ার ভয়ঙ্কর অভিযোগ তুলেছিলেন DSO নেত্রী সুশ্রীতা সোরেন। সেই ২ মামলায় হাইকোর্টে রীতিমতো ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় রাজ্য পুলিশকে পুলিশি অত্যাচারের ২টি মামলাতেই, আইপিএস অফিসার মুরলী ধরের নেতৃত্বে SIT গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। পাশাপাশি, অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপেরও নির্দেশ দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ। এই ২ মামলাকে চ্য়ালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গেছিল রাজ্য সরকার। বুধবার আদালতে ধাক্কা খেল তারা।
এদিকে রাজ্যে কলেজে ভর্তির সিংহভাগ আসনই ফাঁকা। এই বিষয়কে সামনে রেখেই এবার পথে নামার সিদ্ধান্ত নেয় SFI। রাজ্যের কলেজগুলিতে স্নাতক স্তরে মোট আসন প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ হলেও, আসন ফাঁকা রয়েছে প্রায় ৬ লক্ষ। এই প্রেক্ষাপটে চলতি মাসে সাংবাদিক বৈঠক করে এই নিয়ে সরব হয়েছিলেন SFI-এর রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে। নিশানা করেন রাজ্য়ের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে।