চাকদা: চাকদায় মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য, চলল এলোপাথাড়ি গুলি! মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য, ১৮ রাউন্ড গুলি চলার অভিযোগ। ১৮ রাউন্ড গুলি চলার অভিযোগ খোদ তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের। মাটি কাটাকে ঘিরে গন্ডগোল, হোটেল ব্যবসায়ীকে মারধরেরও অভিযোগ। মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ গ্রামবাসীদের। মাটি বোঝাই গাড়ি আটকে স্থানীয়দের বিক্ষোভ, তারপরেই হামলার অভিযোগ। গ্রামবাসীদের ভয় দেখাতে শূন্যে এলোপাথাড়ি গুলি চলার অভিযোগ। এখনও কেউ অভিযোগ করেনি, খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে: বিডিও । মাটি কাটা সংক্রান্ত অভিযোগ এলেই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানান বিডিও।  


সম্প্রতি এবিপি আনন্দের খবরের জেরে, বালির অবৈধ কারবার রুখতে সোনারপুরে অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু বালি চোরাচালানে জড়িত মাথা-রা এখনও অধরা। কবে তাঁদের গ্রেফতার করবে পুলিশ? তা নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। 


আজ শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় মাটি পাচার করতে গিয়ে ধসে চাপা পড়ে প্রাণ গেল তিন কিশোরের। খোদ মুখ্যমন্ত্রী বারবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও অবাধে চলছে বালি-মাটি পাচার।  তবুও প্রশাসনের নজরদারি কোথায়? প্রশ্ন তুলে শাসকদলকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। 


সোনারপুর উত্তর বিধানসভার খেয়াদায়, প্রশাসনের নাকের ডগায় বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চলছিল বেআইনি বালি খাদান। এবিপি আনন্দর খবরে সেই বালি চুরির পর্দাফাঁস হলেও এখনও অধরা খাদান মালিকরা। লরি অ্যাসোসিয়েশনের এক সদস্যকে গ্রেফতার করা ছাড়া শুধুমাত্র লরি ও মাটি কাটার যন্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।শুক্রবার এবিপি আনন্দে খবর সম্প্রচারের পরেই গতকাল  সোনারপুরের বিডিও ও ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক ও নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশকে নিয়ে ৪টি খাদানে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন। বালি খাদানগুলি সিল করে দেওয়া হয়। এখনও এলাকায় পড়ে রয়েছে টন টন সিলভার স্য়ান্ড বা সাদা বালি। তবে তোলার লোক নেই। স্থানীয়দের দাবি, এখনও অনেক খাদানে পৌঁছতে পারেনি প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে বেআইনি বালি খাদান পুরোপুরি বন্ধ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। 


শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় প্রশাসনের নাকের ডগায় বেআইনি মাটি ও বালি পাচারের কারবার এবং তিন কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্য়ু বড়সড় প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে প্রশাসনকে! এর আগে এবিপি আনন্দ দেখিয়েছিল... কলকাতার একেবারে কাছে, সোনারপুরের খেয়াদাতেও কীভাবে অবৈধ বালি খাদান গজিয়ে উঠেছে! ঘণ্টাখানেক সঙ্গে সুমন অনুষ্ঠানে সেই ছবি দেখানোর পর বালি-মাফিয়ার বিরুদ্ধে ফের অভিযানে নামল পুলিশ ও জেলা প্রশাসন। সম্প্রতি, এবিপি আনন্দর অন্তর্তদন্তে উঠে আসে, খেয়াদার বিস্তীর্ণ এলাকায় রমরমিয়ে চলছে বেআইনি বালির কারবার!


 
ভারী ভারী যন্ত্র দিয়ে বিঘার পর বিঘা জমি থেকে তোলা হচ্ছে সিলভার স্য়ান্ড বা সাদা বালি। এবিপি আনন্দ এই খবর দেখানোর পর, সোমবার খেয়াদা ও ডিহি অঞ্চলে তল্লাশি অভিযান চালাল পুলিশ-প্রশাসন। বেশ কয়েকটি পাম্প মেশিন বাজেয়াপ্ত করা হয়। গুড়িয়ে দেওয়া হয় খাদানের পাশে থাকা অস্থায়ী ঘর। বালি চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় লরি অ্যাসোসিয়েশনের একজন সদস্যকেও। যিনি আমাদের ক্যামেরার সামনেই অবৈধ বালি কারবারের কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন।



যদিও, এই অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা যখন বারুইপুর পুলিশ জেলার এসপির কাছে যাই, তখন তিনি জানান, বালি খাদান এখানে চলে, এরকম কোনও তথ্য আমার কাছে নেই। যদি, থাকে তাহলে জেলা শাসক-সহ প্রশাসন দেখবে। এটা পুলিশের দেখার বিষয় নয়। খবর সম্প্রচারের পর জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি তৎপর হয় পুলিশ। শুরু হয় ধরপাকড়।