কলকাতা : অমরনাথ-বিপর্যয়ের বলি বাংলার তরুণী । অমরনাথে বারুইপুরের নিখোঁজ ছাত্রীর মৃত্যু, জানালেন জেলাশাসক।
১ জুলাই বারুইপুর থেকে ৭ জনের দলে অমরনাথে যাত্রা করেন বর্ষা। শুক্রবারের মেঘভাঙা বৃষ্টির সময় মাকে বাঁচাতে গিয়ে ভেসে যান বর্ষা। কাল ২২ বছরের তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। আহত হয়েছেন বর্ষার মা ও মামাও।
শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন বারুইপুর থেকে যাওয়া এক কলেজ ছাত্রী। পরিবারের লোকেরা জানান, গত পয়লা জুলাই বারুইপুর থেকে ৭ জনের একটি দল অমরনাথ যায়। সেই দলেই ছিলেন বর্ষা মুহুরি, তাঁর মা ও মামা। কিন্তু শুক্রবার মেঘভাঙা বৃষ্টির পর থেকেই কলেজ ছাত্রী বর্ষা মুহুরির কোনও খোঁজ মিলছিল না। উদ্বিগ্ন ছিলেন পরিজনরা। শেষমেষ মৃত্যু সংবাদ এল তাঁর।
ভয়াবহ অবস্থায় পর্যটকরা
অমরনাথে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে এখনও নিখোঁজ বহু পুণ্যার্থী। রাতভর চলেছে উদ্ধারকাজ। চারিদিকে শুধুই আতঙ্কের ছবি। বিপর্যস্ত উপত্যকায় আটকে ত্রস্ত বাংলার পুণ্যার্থীরাও। বাড়ি ফেরার জন্য ছটফট করছেন তাঁরা। এদিকে হাতে আর টাকা নেই। কিন্তু তাঁবুতে তো থাকতে হবে। সেখানে বিনা পয়সায় আর আশ্রয় দিতেও চাইছেন না মালিকদের একাংশ। সবমিলিয়ে ক্রমেই বাড়ছে আতঙ্কের দিন-রাত্রি। এদিকে উদ্বেগ বাড়ছে তাঁদের পরিবারেও।
অন্যদিকে, অমরনাথে গিয়ে আটকে পড়েছেন পুলিশ কর্মী প্রবীর কর্মকার। ১ জুলাই পরিবার-সহ ৮০ জনের দলের সঙ্গে রওনা দেন কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকার তারদহের বাসিন্দা ওই পুলিশ কর্মী। ভিডিয়ো বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, অমরনাথ দর্শনে যাওয়ার পথে আটকে পড়েছেন। ভয়াবহ অবস্থা। কপ্টারে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় দিন গুনছে পুলিশ কর্মী-সহ গোটা দল।
নিখোঁজ বারুইপুরের বর্ষা মুহুরি