কলকাতা: জমি বিতর্কে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে জবাব অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen)। নোবেলজয়ী বলেন, 'আমার জমি নিয়ে নিতে চাইছেন, কেউ যদি আপনার বাড়িতে গিয়ে বলে এটা তাঁর জমি। উনি অন্যের সঙ্গে যেরকম ব্যবহার করেন, অন্য কেউ সেটা করবে না।' বিশ্বভারতীর (Viswabharati University) উপাচার্যকে জবাব নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের। 'দিল্লির কিছু মানুষ হয়তো আমাকে পছন্দ করেন না,' মন্তব্য অমর্ত্য সেনের। 


উপাচার্যকে জবাব অমর্ত্য সেনের: শান্তিনিকেতনে জমি বিতর্কের রেশ এবার এসে পড়ল দিল্লিতেও। বিস্ফোরক এই মন্তব্য করে কি আদতে তাঁর প্রতি কেন্দ্রের মোদি সরকারের মনোভাব নিয়েই প্রশ্ন তুললেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন? কারণ, অমর্ত্য সেন নানা সময় মোদি সরকারের বিভিন্ন নীতির সমালোচনা করেছেন। কখনও তিনি কেন্দ্রের নোট বাতিলের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কখনও ভারতে অসহিষ্ণুতা নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করছেন। কখনও গুজরাতে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আবার কখনও খোলাখুলি বলেছেন প্রধানমন্ত্রী পদে মোদিকে দেখতে চান না। আবার, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের পদ থেকে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে সরিয়ে দিতে দ্বিধাবোধ করেনি মোদি সরকারও। এই প্রেক্ষাপটেই কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্বভারতী চত্বরেই অমর্ত্য সেনের বাড়ি - প্রতীচীর জমি নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।


বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, অমর্ত্য সেন অবৈধভাবে বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে আছেন। অমর্ত্য সেন শান্তিনিকেতনে থাকাকালীনই জমি ফেরানোর কথা বলে তাঁকে নোটিস পাঠিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তাতে লেখা হয়েছে, এই জমি যত দ্রুত সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয়কে ফেরত দিন। আপনি যদি চান বিশ্ববিদ্যালয় এবং আপনার সার্ভেয়ার বা আইনজীবীর উপস্থিতিতে যৌথভাবে জমির জরিপ করা হবে। বিষয়টি এখানেই শেষ হয়নি! স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যাঁর নামকরণ করেছিলেন, সেই অমর্ত্য সেন সম্পর্কে নাম না করে তীব্র কটাক্ষ করতে ছাড়েননি খোদ বিশ্বভারতীর উপাচার্য। তিনি বলেন,“বিশ্বভারতী, আমরা সবাই রাবীন্দ্রিক বলি। আমি অন্যায় করলেও রাবীন্দ্রিক। আমি জমি যদি কব্জা করি, তাতেও রাবীন্দ্রিক।’’

বৃহস্পতিবার এই ইস্যুতে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন নোবেলজয়ী বাঙালি। অমর্ত্য সেন বলেন, “আমার জমি নিয়ে নিতে চাইছেন। কেউ যদি আপনার বাড়িতে এসে বলে এটা আমার জমি। আমরা তো সবাই বলতে পারি। আমি আইনের পথে যাবো না। কিন্তু আমি উপাচার্যের বাড়িতে যেতে পারতাম। গিয়ে বলতে পারতাম এই যা দেখছি, এই ঘরে আমার পিতামহ থাকতেন। এই জায়গাটা আমার খুব পরিচিত। প্রচুর লোককে আনিয়ে মাপতে চাই কার কোন অংশটা। কিন্তু এটাতো করবো না। উনি যা ব্যবহার করেন অন্য কেউ সেটা করবে না। আদালতে আমার যাওয়ার কোনও ইচ্ছে না। আমার উকিলের চিঠি গিয়েছে। আর একবার নিশ্চয় যাবে।’’

আরও পড়ুন: Minakshi Mukherjee: "বেশি ট্যা ফু করো না,'' তৃণমূল নেতা-কর্মীদের হুঁশিয়ারি মীনাক্ষীর